‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা, ৫ আগস্ট সারাদিন সংসদ ভবনে ছিলাম’

গত বছরের ৫ আগস্ট সকালে বাড্ডা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে রং মিস্ত্রী আব্দুল জব্বার নিহতের ঘটনায় করা মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহকে আজ আদালতে হাজির করা হয়।
পলক আদালতে বলেন, তিনি সেদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সংসদ ভবনে অবস্থান করছিলেন। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তিনি ছাড়াও সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুসহ আরও মোট ১১ জন সংসদ ভবনের একটি কক্ষে 'অবস্থান' করছিলেন।
পরে রাতে 'সেনাবাহিনী তাদের উদ্ধার করে' নিয়ে যায় বলে পলক আদালতকে জানান।
সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমানের আদালতে পলককে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তার ৩ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ৫ আগস্ট সকাল সোয়া ১০টার দিকে বাড্ডার ডিআইজি প্রজেক্ট এলাকায় রং মিস্ত্রী আব্দুল জব্বার গুলিতে নিহত হন। এই হত্যা মামলায় পলক অন্যতম আসামি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড শুনানি করেন। এসময় পলক কথা বলার জন্য এক মিনিট সময় চান।
আদালতের অনুমতি পেয়ে তিনি বলেন, 'মামলার ঘটনার যে তারিখ ও সময়ের কথা শুনতে পেলাম, ৫ আগস্ট রাত আড়াইটা পর্যন্ত জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, আমিসহ ১২ জন আবদ্ধ ছিলাম। সেদিন সংসদ ভবন আক্রান্ত হয়েছিল। পরে সেনাবাহিনী আমাদের উদ্ধার করে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। ন্যায়বিচার চাই।'
পলক বলেন, 'সংসদ ভবন আক্রান্ত হলেও আমিসহ কয়েকজন সেদিন সেখানেই ছিলাম গভীর রাত পর্যন্ত।'
তখন প্রসিকিউটর ওমর ফারুকী বলেন, 'তিনি (পলক) স্বীকার করলেন পার্লামেন্টে পালিয়ে ছিলেন। শিরীন শারমিনও সেখানে ছিলেন। তাকে এখনো পাইনি।'
তিনি আরও বলেন, 'যে পাঁচজন আন্দোলন দমাতে বক্তব্য রাখতেন, তাদের একজন পলক। ইন্টারনেট বন্ধ করে হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করেছেন। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না বললে হাস্যকর মনে হবে। যিনি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন এবং যিনি সহযোগিতা করেছেন সমান অপরাধী।'
পরে পলক বলেন, 'আমার ৮৬ দিন রিমান্ড হয়েছে। প্রয়োজনে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিতে পারেন।'
শুনানি শেষে পলকের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।
সরকার পতনের পরদিন ৬ আগস্ট পলককে ঢাকার শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকের খবর পাওয়া যায়। পরে তাকে হত্যা, হত্যাচেষ্টা মামলায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
Comments