এমপি-মন্ত্রীদের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফায়েড করার পরামর্শ পলকের

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু আজ রাতে
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। স্টার ফাইল ছবি

ফেক আইডি দিয়ে অপপ্রচার বন্ধে এমপি-মন্ত্রীদের ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফায়েড করার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

এমপি-মন্ত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'আপনারা ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাডের জন্য পাঠালে আমরা ফেরিফাই করে দেবো। ফলে ফেক আইডি দিয়ে আপনার নামে কেউ অপপ্রচার করতে পারবে না।'

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

সাইফুল ইসলাম সম্পূরক প্রশ্নে বলেন, ফেক ফেসবুক আইডি খুলে জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ীদের চরিত্র হনন করা হচ্ছে। ইউটিউব আইডি খুলে মানুষের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। এসব বন্ধে তিনি মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চান।

জবাবে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'এ সমস্যা শুধু বাংলাদেশের নয়, সারা পৃথিবীর সমস্যা যেখানে সামাজিক যোগাযোগ, নতুন মাধ্যমে ভুল তথ্য, ফিশিং, মাসকিং এ ধরনের অপরাধ করা হচ্ছে। অপপ্রচার, গুজব ছড়িয়ে অনেকের প্রাণহানি হচ্ছে, অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদদের নামে অপপ্রচার হয়। অনেক ডিপফেক ভিডিও বানিয়ে অথবা ইমজে ফটোশপ করে অপপ্রচার, মানহানিকর কনটেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই জন্য সময়ের প্রয়োজনে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট করেছি। কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে আইনের আশ্রয় নিতে পারে।'

এমপি-মন্ত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'আপনাদের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফায়েডের জন্য পাঠান, তাহলে আমরা ফেরিফাই করে দেবো। ফলে ফেক আইডি দিয়ে আপনার নামে কেউ অপপ্রচার করতে পারবে না। পাশাপাশি ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটকসহ অন্যান্য সংস্থাগুলোকে নিয়মিত পাঠাই। এই প্ল্যাটফর্মটা মাল্টিন্যাশনাল, তাদের অফিস বাংলাদেশে রেজিস্ট্রেশন নেই। এই জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করছি। যাতে করে বাংলাদেশের কোনো ব্যক্তির বা প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুমতি না নিয়ে দেশের বাইরে নিয়ে যেতে না পারে এবং অপব্যবহার করতে না পারে। অভিযোগ করলে শক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। '

স্বতন্ত্র এমপি সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশের ৯৮ শতাংশ এলাকা ফোর জি নেটওয়ার্কের আওতাধীন।'

Comments