অপদ্রব্য পুশ করা ১১২২ কেজি চিংড়ি জব্দ, একজনকে ৩ মাসের কারাদণ্ড

জব্দকৃত চিংড়ি আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরায় অপদ্রব্য পুশ করা এক হাজার ১২২ কেজি বাগদা চিংড়ি জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করেছে বিশেষ টাস্কফোর্স। অপদ্রব্য পুশ ও বাজারজাতকরণের অভিযোগে একজনকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সদর উপ‌জেলার ঝাউডাঙ্গা বিজিবি চেকপোস্ট এলাকায় ট্রাক থেকে এসব বাগদা চিংড়ি জব্দ করা হয়।  

সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন ৩৩ বিজিবি পরিচালক ও অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশরাফুল হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, 'কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অপদ্রব্য পুশকৃত বাগদা চিংড়ি বিক্রির উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরা থেকে খুলনা হয়ে সিলেটে নিয়ে যাবে, এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মো. মাসুদ রানা ও নায়েক সুবেদার মো. শামীম আলমের নেতৃত্বে বিজিবির একটি দল সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা এলাকায় অবস্থান নেয়। রাত ৯টার দিকে ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় তিন ট্রাক বাগদা চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ জব্দ করা হয়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রণয় বিশ্বাস, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ও বিজিবির সমন্বয়ে গঠিত পর্ষদ জব্দকৃত মাছ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এক হাজার ১২২ কেজি বাগদা চিংড়ি অপদ্রব্য পুশকৃত বলে শনাক্ত করেন। অপদ্রব্য পুশকৃত মাছগুলো মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বিধায় টাস্কফোর্স কর্মকর্তাদের নির্দেশক্রমে সেগুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।'

এ ছাড়া, জব্দকৃত মাছের সঙ্গে পুশ ব্যতীত ২৫০ কেজি বাগদা ও তিন হাজার ৭৬০ কেজি দেশীয় বিভিন্ন ধরনের মাছ বিশেষ টাস্কফোর্স পর্ষদ নিলামে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে বলেও জানান তিনি।

এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রণয় বিশ্বাস চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ ও বাজারজাতকরণের অভিযোগে সাতক্ষীরা সদর থানার থানাঘাটা গ্রামের মো. আরিফ হোসেনকে তিন মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন। 
 

Comments