চট্টগ্রামে পিটিয়ে হত্যার ২ মাস পর গ্রেপ্তার ২

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

চট্টগ্রামের ষোলশহরে গত আগস্টে একজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তারা হলেন—দিনমজুর মো. জানে আলম এবং নৈশপ্রহরী মো. আলমগীর।

বুধবার রাতে গ্রেপ্তারের পর আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের আদালতে হাজির করা হলে তারা স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, গত ৯ আগস্ট ছিনতাইয়ের অভিযোগে মো. ইসলাম ওরফে টিটুকে আটকে রেখে মারধর করা হয়। নগরীর ষোলশহরের বিপ্লব উদ্যানে আটকে পেটালে সেখানেই তিনি মারা যান।

খুলশী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাম্মেল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নিহত ইসলাম গত ৯ আগস্ট সকালে এক পোশাকশ্রমিকের ব্যাগ ছিনতাই করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। কয়েকজন পথচারী তাকে আটক করে। আটক জানে আলম ও আলমগীর দুজনই ইসলামকে আগে থেকেই চিনতেন। তারা দুজনসহ কয়েকজন ইসলামকে মারধর করে।'

'এরপর তাকে সোলাইমান বাদশার নার্সারিতে নিয়ে আবার মারধর করা হয়। সেখান থেকে তাকে আবার মূল সড়কের ট্রাফিক খুঁটির সঙ্গে আটকে রাখে। পরে তাকে বিপ্লব উদ্যানে নিয়ে আবার মারলে সেখানেই মারা যায় ইসলাম,' বলেন মোজাম্মেল।

এই ঘটনায় ১৩ আগস্ট অজ্ঞাতনামাদের আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন ইসলামের মা বিউটি বেগম। পরে এই ঘটনায় তদন্তে নামে পুলিশ।

পুলিশ কর্মকর্তা মোজাম্মেল বলেন, 'আমরা লাশের পাশে আসামি জানে আলমকে দাঁড়িয়ে থাকার একটি ছবি পেয়েছি। সেই ছবির সূত্র ধরে তদন্ত করতে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনার সঙ্গে তার জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে। আমরা আরও কিছু নাম জানতে পেরেছি এবং তাদের ধরতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে।'

এর আগে, গত ১৩ আগস্ট নগরের পাঁচলাইশে ছিনতাইকারী সন্দেহে আরেক যুবক শাহাদাত হোসেনকে পুলিশ বক্সের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে গান গেয়ে গেয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তাকে পেটানোর সময় উল্লাস করতে থাকা গ্রেপ্তার কিশোর আশপাশে থাকা লোকজনকে সেলফি তুলতে বলে। পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে মরদেহ নগরের প্রবর্তক মোড় এলাকায় ফেলে আসা হয়। এর একদিন পর পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পাচলাইশ থানায় দায়ের করা মামলায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

3h ago