ভুয়া তথ্যে এনআইডি

আজিজের ২ ভাইয়ের তথ্য চেয়ে ইসি ও পাসপোর্ট দপ্তরে দুদকের চিঠি

ইতোমধ্যে বিষয়টি তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের অনুমোদন পেয়েছে ইসির এনআইডি শাখা।
তোফায়েল আহমেদ জোসেফ ও হারিস আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের দুই ভাইয়ের এনআইডি জালিয়াতির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দুই দপ্তরে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নির্বাচন কমিশনের এনআইডি শাখা ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে আজ সোমবার এ চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।

সাবেক সেনাপ্রধানের দুই ভাই হারিস আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদ ওরফে জোসেফ কীভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এনআইডি কার্ড পেলেন, চিঠিতে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন আবদুল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জেনারেল আজিজের দুই ভাইয়ের এনআইডি ও পাসপোর্ট জালিয়াতির বিষয়ে জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্ট দুই দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে।'

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের দুই ভাই 'মিথ্যা তথ্য ব্যবহার করে' জাতীয় পরিচয়পত্র কীভাবে পেলেন, তা খতিয়ে দেখতে ইতোমধ্যে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের অনুমোদন পেয়েছে ইসির এনআইডি শাখা।

জেনারেল (অব.) আজিজ ২০১৮ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন। তিনি ২০১২ থেকে ২০১৬ সালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নেতৃত্ব দেন।

পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে আজিজ সবার বড়। তার ভাই তোফায়েল, হারিস ও আনিস আহমেদ ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত নিয়মিত সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন খুন, চাঁদাবাজি ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রাখার জন্য।

শুধুমাত্র জোসেফের বিরুদ্ধেই চাঁদাবাজি ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগে ১০টি মামলা হয়েছে। ২০০৪ সালে একটি হত্যা মামলায় জোসেফের মৃত্যুদণ্ড এবং হারিস ও আনিসের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।

২০১৮ সালে জোসেফ এবং ২০১৯ সালে হারিস ও আনিস হত্যা মামলা থেকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পাওয়ার পর মিডিয়ার মনোযোগ যায় জেনারেল (অব.) আজিজের দিকে।

Comments