২ হাজার কোটি টাকা পাচার

সাবেক মন্ত্রীর ভাইসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ নিয়ে  সিদ্ধান্ত ২০ সেপ্টেম্বর

অর্থপাচার

২ হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলায় সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই খন্দকার মোহতেসাম হোসেন বাবরসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করা হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য্য করেছেন আদালত।

২০২০ সালের জুন মাসে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের দুই নেতা সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে সিআইডি কাফরুল থানায় মামলাটি করে।

আজ বুধবার অভিযোগপত্র উপস্থাপনের পর ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক (ভারপ্রাপ্ত) ফয়সাল আতিক বিন কাদের এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ২৫ জুন ফরিদপুরের আলোচিত দুই হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিংয়ে আরও ৩৭ জনের সম্পৃক্ততা পায় অপরাধ তদন্ত বিভাগ।

সিআইডি এ ঘটনায় ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। তাদের মধ্যে ৬ জনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি থেকে কর্মকর্তারা ৩৭ জন নতুন সন্দেহভাজনের নাম পায়।

স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নতুন সন্দেহভাজনরা বাবরের নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটের সদস্য।

মামলার প্রথম চার্জশিট ২০২১ সালের ৩ মার্চ আদালতে জমা দেওয়া হয়৷

২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকার আরেকটি আদালত জানায়, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে এবং অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।

প্রায় নয় মাস তদন্তের পর, সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন, যাতে ৩৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

নতুন আসামিরা পলাতক রয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন।

নতুন আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নিশান মাহমুদ শামীম, ফরিদপুর পৌরসভার সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আ.লীগ বিল্লাল হোসেন, শীর্ষস্থানীয় ঠিকাদার ও ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, ফরিদপুর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জীবন। , ফরিদপুর জেলা আ'লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অনিমেষ রায় এবং ফরিদপুর জেলা আ.লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক ফরিদপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল আলম চৌধুরী।

কাফরুল থানায় দায়ের করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাজ্জাদ ও ইমতিয়াজ টেন্ডারবাজি, মাদক চোরাচালান, জমি দখল ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে দুই হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন।

মামলায় সাবেক মন্ত্রীর ভাই বাবর, ভাই বরকত ও রুবেলসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার তদন্তকারী সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস ২০২১ সালের মার্চ মাসে ঢাকার একটি আদালতে ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন।

তারা হলেন, বরকত, রুবেল, বাবর, খন্দকার মোশাররফের সাবেক এপিএস এএইচএম ফুয়াদ, লেভি, ফারহান, ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ বিন ওয়াজেদ, ফরিদপুর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল হাসান ডেভিড, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী মিনার এবং ফরিদপুর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম।

 

Comments

The Daily Star  | English

Election in first half of April 2026

In his address to the nation, CA says EC will later provide detailed roadmap

15h ago