মূল সন্দেহভাজনদের বাদ দিয়ে ২ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগপত্র
একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটের সদস্য হিসেবে তারা ফরিদপুরে সব সরকারি কাজের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ ও কমিশন-বাণিজ্য করতেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম ২ মেয়াদে সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই মোহতেসাম হোসেন বাবরের নেতৃত্বে তারা অবৈধ প্রক্রিয়ায় 'মোটা অংকের টাকা' পকেটে পুরেছেন।
২০০৮ সালে মোশাররফ হোসেন মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে ২ হাজার কোটি টাকা পাচারের ঘটনায় দায়ের করা একটি আলোচিত মামলায় পৃথক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এই সিন্ডিকেটের ভূমিকা উঠে আসে।
তবুও এদের মধ্যে ৬ জনকে মামলার অভিযোগপত্র থেকে বাদ দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির ভাষ্য, তারা এদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের 'পর্যাপ্ত প্রমাণ' খুঁজে পায়নি।
সিআইডির কর্মকর্তারা বলছেন, কয়েকজন অভিযুক্ত তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এদের নাম উল্লেখ করলেও তদন্তকারীরা তাতে কান দেননি।
গত বছরের মার্চে জমা দেওয়া এই অভিযোগপত্রটি পুলিশের ভেতরে এবং স্থানীয় রাজনীতিবিদদের মধ্যে বেশ আলোড়ন তৈরি করে, যারা এই সিন্ডিকেটের টেন্ডার-বাণিজ্য সম্পর্কে জানতেন।
স্থানীয় পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা সরকারি দরপত্রে কারা অংশ নেবেন এবং কীভাবে অর্থ ভাগ করে নেওয়া হবে, তা নিয়ন্ত্রণে তাদের নিরঙ্কুশ ক্ষমতার সর্বোচ্চ প্রয়োগ করেছিলেন।
২ জন পুলিশ সুপার (এসপি) ও ১ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তারা ধারণা করছেন যে, এই সিন্ডিকেট সদস্যদের মধ্যে কয়েকজনকে অর্থের বিনিময়ে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। পুলিশের এই ৩ কর্মকর্তাদের সবাই মামলার তদন্ত সম্পর্কে ওয়াকিবহাল।
অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার সময় সিআইডি প্রধান ছিলেন মাহবুবুর রহমান। যদিও তিনি ঘুষের বিনিময়ে অভিযোগপত্র থেকে সন্দেহভাজদের বাদ দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
এদিকে মামলার 'ত্রুটিপূর্ণ' তদন্তের বিষয়টি নজরে আসে ঢাকার একটি আদালতের। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ সেপ্টেম্বর পুরো আইন মেনে অধিকতর তদন্তসাপেক্ষে মামলার অভিযোগপত্র পুনরায় জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি অধিকতর তদন্তের আবেদন করার পর আদালতের পক্ষ থেকে এই নির্দেশ আসে। রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি, তদন্তকারীরা অবৈধভাবে ৬ জনের নাম বাদ দিয়েছেন, যদিও এদের মধ্যে ২ জন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে সিন্ডিকেটের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে বলা হয়, 'যেসব আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে তাদের নাম বাদ দেওয়ার এখতিয়ার তদন্তকারী সংস্থার নেই। এমনকি তারা অন্য আসামিদের জবানবন্দিতে উঠে আসা নামগুলোও বাদ দিতে পারে না।'
অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে সিআইডি আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেনি বলেও অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষের।
গত ১ সেপ্টেম্বর মামলার চার্জ গঠনের বিষয়ে শুনানির পর রাষ্ট্রপক্ষের একজন আইনজীবী বলেন, 'অভিযোগপত্রে কোথায় এবং কীভাবে অর্থ পাচার করা হয়েছিল সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য-প্রমাণ উল্লেখ করা হয়নি।'
এছাড়া অভিযোগপত্রে প্রমাণ হিসেবে একই দাগের জমি একাধিকবার উল্লেখ করা হয়েছে।
বাদ পড়া ৬ জন
আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সিন্ডিকেট সদস্য বা সহযোগী হিসেবে যে ৫২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে সিআইডি।
গত ৩ মাস ধরে দ্য ডেইলি স্টার মামলার নথি, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি এবং গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই সিন্ডিকেট সদস্যদের মধ্যে কয়েকজনের সম্পত্তি খুঁজে বের করতে কয়েক ডজন স্থানীয় লোকের সঙ্গে কথা বলেছে।
এতে দেখা গেছে, খন্দকার মোশাররফের আমলে দরপত্র-বাণিজ্য ও কারসাজির মাধ্যমে ৬ জন হাজার হাজার কোটি টাকা কামালেও অভিযোগপত্রে তাদের নাম আসেনি।
এই ৬ জন হলেন- স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বিল্লাল হোসেন, কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন, গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মজনু, ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জীবন ও সভাপতি নিশান মাহমুদ শামিম এবং সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য সিদ্দিকুর রহমান শেখ।
ডেইলি স্টারের হাতে আসা ৭ পৃষ্ঠার একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে গত কয়েক বছর ধরে এই সিন্ডিকেট সদস্যদের কয়েকজনের অর্জিত সম্পদের বিশদ বিবরণ দেওয়া আছে।
ওই প্রতিবেদন অনুসারে, জেলা শহরের ২টি বাজারে বিল্লালের অন্তত ২টি ভবন, ৭০ বিঘা জমি, ১টি ইটভাটা ও ৪টি দোকান আছে। এ ছাড়া ঢাকার ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুরে তার ২টি ফ্ল্যাটও আছে।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য বিল্লালের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে শহরের হারোকান্দি এলাকায় একটি ডুপ্লেক্স বাড়ির পাশাপাশি শহরের মৈত্রী টাওয়ারে একটি ফ্ল্যাট, ৮টি দোকান ও ১৫ ডেসিমেল জমি আছে বেলায়েতের। এর পাশাপাশি ফরিদপুরে ৪৭ বিঘা জমি, ১টি মাইক্রোবাস ও ঢাকার মোহাম্মদপুরে ১টি ফ্ল্যাটের মালিক বেলায়েত।
অবৈধভাবে অর্থ ও সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বেলায়েত।
মনজু ফরিদপুর শহরে একটি ৩ তলা ভবন, ৪টি দোকানের মালিক। একইসঙ্গে ১টি ইটভাটার মালিকানার অংশ আছে তার, আছে সাড়ে ৮ বিঘা জমি। গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুসারে এগুলোর সবই তিনি অর্জন করেছেন ২০১২ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে।
কথা বলার জন্য মনজুর সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আরেক অভিযুক্ত জীবনের জেলা শহরের ৭ তলা মা ও শিশু হাসপাতাল এবং ফরিদপুর নিউ মার্কেটের ২টি দোকানে শেয়ার আছে। এছাড়াও ভাঙ্গা মহাসড়কের পাশে তার ৩ একর জমি, শহরে ২টি বাড়ি ও ৪৫ ডেসিমেল জমি এবং ঢাকার মিরপুরে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে বলে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মন্তব্যের জন্য জীবনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয়দের ভাষ্য, তিনি এখন আত্মগোপনে আছেন।
ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের এসব সম্পদের কয়েকটিতে পরিদর্শন করা হয়েছে। স্থানীয়রাও নিশ্চিত করেছেন যে, তারা এই সিন্ডিকেটের সদস্য।
বিল্লাল হোসেন ২ দশক আগে বাবরের সহকারী ছিলেন। তিনি দ্রুত বাবরের আস্থা অর্জন করেন, যিনি তার ভাই খন্দকার মোশাররফ মন্ত্রী হওয়ার পর জেলার দরপত্র-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেন।
বিল্লাল কোতোয়ালী থানা আওয়ামী লীগের নেতা এবং একই সিন্ডিকেটের সদস্য। সিন্ডিকেটের সঙ্গে তার জড়িত থাকার বিষয়টি ৩ আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উঠে এসেছে।
নথিপত্রে দেখা যায়, গ্রেপ্তারের পর বিল্লাল নিজেই ৩টি দরপত্রে কারসাজির কথা স্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে বক্তব্যের বিল্লালের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তার কার্যালয়ের একজন জানান যে, তিনি এখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন না।
এ বিষয়ে নিশানের সঙ্গেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
ডেইলি স্টারের অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিশান সিন্ডিকেট বসদের নির্দেশ অনুসারে প্রদিদ্বন্দ্বিদের ওপর আক্রমনে নেতৃত্ব দিতেন। তিনি কিছু বসের কাছ থেকে অর্থ পাওয়ার কথাও স্বীকার করেছিলেন।
সূত্র বলছে, গত বছরের ডিসেম্বরে সিদ্দিক একটি চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার হন। তখন তিনি এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
প্রায় দেড় মাস আগে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর, তিনি ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন যে, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সত্য নয় এবং তার সমস্ত সম্পদ তার আয়কর নথিতে দেখানো আছে।
এই ৬ জনের কেউই এখন কারাগারে নেই। তাদেরও গেপ্তারও দেখানো হয়নি।
মামলা ও স্বীকারোক্তি
টেন্ডার কারসাজি, মাদক চোরাচালান, জমি দখল ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে অর্জিত ২ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ফরিদপুর আওয়ামী লীগের নেতা সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের জুনে কাফরুল থানায় মামলাটি করে সিআইডি।
এ ঘটনায় বাবর, বরকত, রুবেলসহ স্থানীয় বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বরকত, রুবেল, বিল্লাল, নিশান, ফরিদপুর নগর যুবলীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভি ও ফরিদপুর নগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান ফারহান ম্যাজিস্ট্রেটদের সামনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
প্রায় ৯ মাস তদন্তের পর সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার ও তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা উত্তম কুমার বিশ্বাস গত বছরের মার্চে ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।
তারা হলেন- বরকত, রুবেল, বাবর, খন্দকার মোশাররফের সাবেক এপিএস এ এইচ এম ফুয়াদ, লেভি, ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারহান, ফরিদপুর নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল হাসান ডেভিড, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী মিনার ও ফরিদপুর নগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম।
বরকত তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ম্যাজিস্ট্রেটকে বলেন, ২০০৮ সালে খন্দকার মোশাররফ মন্ত্রী হওয়ার পর বাবর ও সিদ্দিকুর রহমান শেখ টেপাখোলা পশুর হাট, সিঅ্যান্ডবি ঘাট ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ শুরু করেন।
২০১৪ সালে মোশাররফ দ্বিতীয় দফায় মন্ত্রী হওয়ার পর ফুয়াদ, বাবর ও বিল্লাল প্রায় সব সরকারি অফিস, টেপাখোলা পশুর হা, সিঅ্যান্ডবি ঘাট এবং মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দরপত্র নিয়ন্ত্রণ শুরু করেন।
জবানবন্দিতে বরকত আরও বলেন, 'বাবর চাচা ও বিল্লালের মাধ্যমে আমি একের পর এক এলজিইডির টেন্ডার জিতেছি। আমি তাদের ৫ থেকে ১০ পারসেন্ট কমিশন দিতাম।'
সিদ্দিকের নেতৃত্বে সিন্ডিকেটের সদস্য ও সহযোগী হিসেবে জীবন, বেলায়েত ও মজনুসহ ৩৫ জনের নাম প্রকাশ করেন বরকত।
বিল্লাল তার জবানবন্দিতে সিন্ডিকেটের সঙ্গে তার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বলেন যে, তিনি ৩টি টেন্ডার পেয়েছেন। এর প্রতিটির জন্য সিদ্দিককে ২ শতাংশ করে কমিশন দিয়েছেন।'
রুবেলের জবানবন্দিতও বরকত ও বিল্লালের জবানবন্দির সঙ্গে অনেকটা মিলে যায়।
রুবেলের বক্তব্য অনুসারে, ২টি মসজিদ নির্মাণের টেন্ডার পাওয়ার পর তিনি সিদ্দিককে ১ কোটি টাকা কমিশন দেন।
রুবেল আরও বলেন, এলজিইডি থেকে তিনি বেশ কয়েকটি টেন্ডার জিতেছেন এবং সিদ্দিক, বিল্লাল, বাবর, মজনু, বেলায়েতসহ আরও কয়েকজনকে ৫ থেকে ৭ শতাংশ কমিশন দিয়েছেন।
লেভি ও ফারহান সিদ্দিককে সিন্ডিকেটের নেতা হিসেবেও অভিহিত করেন।
'অপর্যাপ্ত' প্রমাণ
চার্জশিট জমা দেওয়ার সময় সিআইডি কর্মকর্তা উত্তম কুমার বিশ্বাস আদালতে জানান, অন্য কোনও সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে নতুন প্রমাণ মিললে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করা হবে।
উত্তম এখন র্যাবে কর্মরত। যেহেতু তিনি অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার পরপরই র্যাবে বদলি হন, তাই সিআইডি মামলার নতুন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়নি।
কেন তিনি অভিযোগপত্র থেকে ৬ অভিযুক্তের নাম বাদ দিয়েছেন- জানতে চাইলে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন উত্তম।
সিআইডির সাবেক প্রধান মাহবুবুর রহমান এ ব্যাপারে বলেন, 'আমরা ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছি। কারণ তাদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রমাণ পেয়েছি।'
তদন্ত কর্মকর্তা ছাড়া তারা কীভাবে তদন্ত পরিচালনা করছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, সিআইডির অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং ইউনিট এটি পরিচালনা করছে।
অভিযোগপত্র থেকে নাম বাদ দিতে তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে তা খারিজ করে দেন এক মাস আগে অবসরে যাওয়া মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, 'যে সিআইডি কর্মকর্তা তদন্ত তদারকি করছিলেন, তিনি একজন সৎ কর্মকর্তা এবং ঘুষ নেওয়ার প্রশ্নই আসে না।
(প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন দ্য ডেইলি স্টারের ফরিদপুর সংবাদদাতা সুজিত কুমার দাস)
অনুবাদ করেছেন মামুনুর রশীদ
Comments