বাগেরহাটে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, ৩ ভাই গ্রেপ্তার

বাগেরহাটের শরণখোলায় মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার ভোররাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

বাগেরহাটের শরণখোলায় মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার ভোররাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে, নিহত পাপিয়া আক্তারের ভাই আল-আমিন খলিফা বাদী হয়ে পাপিয়ার স্বামী আবু জাফরসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৪ জনের বিরুদ্ধে শরণখোলা থানায় একটি মামলা করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, শরণখোলা উপজেলার পশ্চিম রাজাপুর গ্রামের আব্দুস সামাদ হাওলাদারের ছেলে মনির হাওলাদার, নেহারুল হাওলাদার ও মিলন হাওলাদার। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) কে এম আরিফুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা ৩ ভাই। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।'

তিনি আরও বলেন, 'স্বামীর সঙ্গে ওই নারীর পারিবারিক বিরোধ ছিল। তার স্বামীও মামলার আসামি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।'

নিহত পাপিয়ার ছোট বোন সুমি আক্তার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার বোন বলতো মনির তাকে বিরক্ত করে। মনিরের প্রস্তাব না মানলে তাকে হত্যা করা হবে। এ কারণে সে খুব ভয় পেয়েছিল। অনেক সময় বাড়ি ছেড়ে সে অন্য বাড়িতে গিয়ে ঘুমাতো।' 

এদিকে, ঘটনার পর থেকে নিহত পাপিয়ার স্বামী আবু জাফর পলাতক রয়েছে।

নিহত শিশু জেনির চাচা আবু তালেব ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার ছোট ভাইয়ের এক ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে থাকে মঠবাড়িয়ায়। আমার ভাই ঢাকার একটি দোকানে সেলসম্যান হিসেবে কাজ করে। আর ভাইয়ের স্ত্রী পাপিয়া আক্তার তার মেয়েকে নিয়ে বাসায় থাকতো। মনিরের কথাও আমরা জানতাম। কিন্তু ভয়ে কিছু বলতে পারতাম না। মনির ও তার ভাইয়েরা এলাকায় অনেক মানুষকে অন্যায়ভাবে মারধর করেছে।'

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাতে শরণখোলা উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে পাপিয়া আক্তার ও তার শিশুকন্যা জেনিকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। প্রতিবেশীরা আহত জেনিকে উদ্ধার করে তার চাচা আবু তালেবের ঘরে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয় এবং পাপিয়া আক্তারকে উদ্ধার করে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

12h ago