কাজী সালাউদ্দিন-সালাম মুর্শেদী-নাঈমের বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে: আপিল বিভাগ
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ বাফুফের ফুটবল ফেডারেশনের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
একইসঙ্গে গত ২৫ জুন ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (ফিফা) তহবিল সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্তে হাইকোর্টের নির্দেশনার অংশ হিসেবে চেম্বার বিচারপতির আদেশও বহাল রাখা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ৩ সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি ও ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম মুর্শেদীর করা লিভ টু আপিল আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ রোববার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৫ মে বাফুফের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি, মানি লন্ডারিং ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত করে ৪ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে দুদক, ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে এসব অভিযোগের তদন্তে তাদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।
বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত লিজুর হাইকোর্ট বেঞ্চ দুদককে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নির্দেশনা চেয়ে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে নিয়ে এ আদেশ দেন।
এর আগে এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৫ মে হাইকোর্ট রুল দিয়ে অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে গত ২২ জুন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী আবেদন (লিভ টু আপিল) করেন। আজ আবেদনটি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ সংস্থাটির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান চেয়ে গত মে মাসে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৫ মে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন।
রুলে কাজী সালাউদ্দিন, আবদুস সালাম মুর্শেদী, আবু নাঈমসহ বাফুফের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধান করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা বা ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
Comments