যুবলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে রিকশাচালককে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
পাবনার ঈশ্বরদীতে এক রিকশাচালককে গুলি করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে আনোয়ার হোসেন নামের এক যুবলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২ জন।
গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রিকশাচালক মামুন হোসেন (২৬) ঈশ্বরদী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের পিয়ারাখালী গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন ঈশ্বরদী ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের কর্মী বলে জানিয়েছেন ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ও ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র ইসহাক আলি। আনোয়ার ঈশ্বরদী ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি কামাল হোসেনের ছোট ভাই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে দ্রুতগতির একটি ভটভটি গাড়ি থামিয়ে দ্রুতগতির বিষয়ে জিজ্ঞেস করছিল স্থানীয়রা। এ সময় পেছনে থাকা একটি লেগুনা ভটভটির পেছনে ধাক্কা দিলে গ্লাস ভেঙে যায়। এ নিয়ে লেগুনা চালক ও ভটভটি চালকের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ২টি যানবাহনই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এরই জের ধরে রাত ৯টার দিকে আনোয়ারের নেতৃত্বে কয়েকজন ঘটনাস্থলে আসে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় তাদের। এ সময় আনোয়ার আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গুলি চালালে মামুন এবং রকি হোসেন (২৬) ও সুমন হোসেন (২৮) নামের ৩ জন আহত হন।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আহতদের মধ্যে মামুন হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। অন্য ২ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।'
'ঘটনার পর ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখনও মামলা হয়নি। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পলাতক। তাদের খুঁজে বের করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে', যোগ করেন ওসি।
Comments