নৌবাহিনী কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত-হত্যাচেষ্টা মামলায় ইরফান সেলিমের জামিন

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে ২০২০ সালের অক্টোবরে লাঞ্ছিত ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ ইরফান সেলিমের জামিন মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
ইরফান সেলিম। ছবি: সংগৃহীত

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে ২০২০ সালের অক্টোবরে লাঞ্ছিত ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ ইরফান সেলিমের জামিন মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

ইরফান ও তার আইনজীবী প্রাণ নাথ মামলায় জামিন চেয়ে আদালতে হাজির হওয়ার পর অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর এ আদেশ দেন।

মামলায় ইরফানও অপর ৪ জনের বিরুদ্ধে শুনানি স্থগিত করার জন্য আইনজীবী আরেকটি আবেদন করেন।

গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মমিনুল হক।

চার্জশিটে ইরফান ছাড়াও নাম রয়েছে তার দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা, গাড়িচালক মিজানুর রহমান এবং মদিনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপু এবং সহযোগী মো. রিপন মিয়ার।

তাদের মধ্যে জাহিদুল কারাগারে, মিজান ও দীপু জামিনে এবং রিপন পলাতক।

নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফের দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, ঢাকা মেট্রো-ঘ ১১-৫৭৩৬ নম্বর প্লেটের একটি এসইউভি রাজধানীর ধানমন্ডিতে তার মোটরসাইকেলটিকে পিছনের দিকে ধাক্কা দেয়। সেই সময় ওয়াসিফ ও তার স্ত্রী নীলক্ষেত থেকে তাদের ঢাকা সেনানিবাসের বাড়িতে ফিরছিলেন। ঘটনাটি ঘটে ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর রাত পৌনে ৮টার দিকে।

এই ঘটনার পর এসইউভি থেকে একজন বেরিয়ে এসে তাদের গালিগালাজ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। ট্রাফিক সিগন্যালে গাড়িটি থামলে অফিসার ওয়াসিফ গাড়ির জানালায় টোকা দেন এবং নিজের পরিচয় দেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, তখন গাড়ির আরোহীরা বেরিয়ে এসে তাকে গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করতে শুরু করেন।

তার স্ত্রী তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তারা তাকেও লাঞ্ছিত করেন এবং গাড়িটি ফেলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

এ সময় আশেপাশে থাকা বেশ কয়েকজনের মোবাইলে ধারণ করা ঘটনার ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ঘটনার পরের দিন রাজধানীর চকবাজার এলাকার দেবীদাস ঘাট লেনে হাজী সেলিমের বাড়িতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে র‌্যাব কর্মকর্তারা অভিযান চালান এবং অবৈধভাবে ওয়াকিটকি ও বিদেশি মদ রাখার দায়ে ইরফান ও তার দেহরক্ষী জাহিদুলকে ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

পরে ইরফানকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়।

গত বছরের ৫ জানুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অস্ত্র ও মাদক মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে চকবাজার থানা পুলিশ।

চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২ মামলায় ইরফানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সপক্ষে পুলিশ প্রমাণ পায়নি

তবে ইরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদুল মোল্লার বিরুদ্ধে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে।

একই বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক কে এম এমরুল কায়েশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে ইরফানকে অস্ত্র ও মাদক মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।

Comments

The Daily Star  | English

Six state banks asked to cancel contractual appointments of MDs

The Financial Institutions Division (FID) of the finance ministry has recommended that the boards of directors of six state-run banks cancel the contractual appointment of their managing directors and CEOs..The six state-run banks are Sonali Bank, Janata Bank, Agrani Bank, Rupali Bank, BAS

34m ago