প্রধানমন্ত্রীকে ‘কটূক্তির’ অভিযোগ যুক্তরাজ্য প্রবাসীর বিরুদ্ধে, দেশে গ্রেপ্তার ছোট ভাই

যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুর রব ভুট্টো এবং তার ছোট ভাই রাউৎগাঁও ইউপি সদস্য ও বিএনপি নেতা আব্দুল মুক্তাদির মনু। ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুর রব ভুট্টো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে 'কটূক্তিমূলক এবং রাষ্ট্রবিরোধী' পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে দেশে থাকা তার ছোট ভাই ইউপি সদস্য ও বিএনপি নেতা আব্দুল মুক্তাদির মনুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের চৌধুরী বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরে গতকাল তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

আব্দুর রব ভুট্টো উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের ভাটুৎগ্রাম গ্রামের মৃত নছর মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আব্দুর রব ভুট্টো এখন যুক্তরাজ্যে থাকেন।

সূত্র আরও জানায়, দেশে থাকাকালে আব্দুর রব ভুট্টো কুলাউড়া থেকে প্রকাশিত স্থানীয় 'সাপ্তাহিক হাকালুকি' ও 'বেনীআসহকলা' পত্রিকায় কিছুদিন কাজ করেন। এ ছাড়া, শীর্ষ নিউজের কুলাউড়া প্রতিনিধিও ছিলেন। বর্তমানে 'লন্ডন বাংলা চ্যানেল' নামক ফেসবুক পেজের সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই পেজের মাধ্যমে দিয়ে তিনি 'দেশবিরোধী' অপ্রচার চালাচ্ছেন।

আব্দুল মুক্তাদির মনু রাউৎগাঁও ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য। এর আগেও তিনি ৪ বার নির্বাচিত হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি উপজেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।

এ বিষয়ে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুছ ছালেক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুর রব ভুট্টো ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রবিরোধী পোস্ট দিচ্ছেন, গোয়েন্দা সংস্থার কাছে এমন তথ্য রয়েছে। তার সঙ্গে ছোট ভাই ইউপি সদস্য আব্দুল মুক্তাদির মনুর কোনো যোগসাজশ আছে কি না, সেটি খতিয়ে দেখার জন্য তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। পরে তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। এরপর আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।'

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

13h ago