সাবস্টেশনে পানি, জুড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ

রানিমোড়া এলাকার জুড়ি-বটুলি কাস্টমস স্টেশন রোডের পাশে অবস্থিত সাবস্টেশনটি এখনো প্লাবিত রয়েছে। ছবি: স্টার

টানা বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে আসা ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) সাবস্টেশন, ফলে মঙ্গলবার সকাল থেকে মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জুড়ি নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের মতে, আজ বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত জুড়ি নদীর পানি বিপৎসীমার ১৮৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জুড়ি বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের আবাসিক প্রকৌশলী কবির আহমেদ বলেন, 'মঙ্গলবার ভোরে সাবস্টেশন প্রাঙ্গণে পানি প্রবেশ করেছে। পানির স্তর বাড়তে থাকায় এবং আরও ক্ষতি এড়াতে আমরা কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি।'

রানিমোড়া এলাকার জুড়ি-বটুলি কাস্টমস স্টেশন রোডের পাশে অবস্থিত সাবস্টেশনটি এখনো প্লাবিত রয়েছে। উপজেলার ছয় ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী দুটি ট্রান্সফরমার ডুবে আছে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটে প্রায় ২০ হাজার গ্রাহক ভোগান্তিতে পড়েছেন।

জুড়ি-গোয়ালবাড়ি রুটের ফুলতলা রোড, মোকামবাড়ি রোড, কলেজ রোড এবং নয়াবাজারসহ বেশ কিছু এলাকার অনেক ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে গেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জলাবদ্ধতার কারণে কিছু বাসিন্দা নিরাপদ আশ্রয়স্থলে চলে গেছেন।

স্থানীয় দিলশাদ মিয়া এই প্রতিবেদককে বলেন, 'সাবস্টেশনটি ২০২২ সালে নির্মিত হয়েছিল, কিন্তু স্থানটি পর্যাপ্ত উঁচু করা হয়নি। ২০২২ ও ২০২৪ সালের বন্যার সময়ও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল এবং তারপর থেকে কিছুই পরিবর্তন হয়নি।'

বিপিডিবি কর্মকর্তারা সাবস্টেশনের অবস্থান এবং উচ্চতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এটি বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে।

কুলাউড়া পিডিবির বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাহাদাত হোসেন বলেন, 'আমি গতকাল পরিদর্শন করতে গিয়েছিলাম। সেখানে বিদ্যুৎ ট্রান্সফরমার প্রায় ছয় ইঞ্চি পানির নিচে ছিল। এটি চালু হলে গুরুতর দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই আমরা এখনো এটি পরিচালনা করছি না।'

'আমরা বর্তমানে কুলাউড়া থেকে জুড়ি উপজেলা শহরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করছি। পানি না কমা পর্যন্ত এটি পরিচালনা করা সম্ভব নয়', বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Industrial output soars, but where are the jobs?

Over the past decade, more and more industries have sprung up across the country, steadily increasing production. But while output rose, factories did not open their doors to more workers.

10h ago