বাসে ডাকাতি-সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: মূলহোতাসহ আরও ২ আসামির জবানবন্দি
টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মূলহোতাসহ ২ সন্দেহভাজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
তারা হলেন- রতন হোসেন (২১) ও আব্দুল মান্নান (২২)।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাদের আদালতে উপস্থাপন করেন। সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নওরীন করিমের আদালতে ১৬৪ ধারায় তারা জবানবন্দি দেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানভীর আহম্মেদ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, এ নিয়ে মোট ১৩ আসামির মধ্যে ১১ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন।
তিনি আরও বলেন, 'রতন ও মান্নানের সঙ্গে ৩ দিনের রিমান্ড শেষ হওয়া অপর ২ সন্দেহভাজন--হাসমত আলী দিপু (২৩) ও জীবন প্রামানিককে (২১) তদন্ত কর্মকর্তা একই দিন আদালতে উপস্থাপন করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৩ আগস্ট কুষ্টিয়া থেকে নারায়নগঞ্জগামী ঈগল এক্সপ্রেসের একটি চলন্ত বাসে ডাকাতি করে ১৩ জন। বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ অর্থ, অন্যান্য মালামাল লুট এবং এক নারীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে তারা।
ঘটনার দিনই হেকমত আলী নামে একজন বাসযাত্রী বাদি হয়ে মধুপুর থানায় ১০-১২ জন অজ্ঞাতনামা ডাকাতের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি এবং ধর্ষণ মামলা করেন।
ঘটনার একদিন পর টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশ (উত্তর) এর একটি দল টাঙ্গাইল নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে রাজা মিয়া নামে এক সন্দেহভাজন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের মাধ্যমে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়।
পরেরদিন মামলাটির তদন্তভার মধুপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুরাদ হোসেনের কাছ থেকে টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশ (উত্তর) এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
সেদিনই নতুন তদন্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল পাশ্ববর্তী গাজীপুরে জেলার কালিয়াকৈর থেকে ডাকাত দলের সন্দেহভাজন আরও দুই সদস্য মো. আউয়াল (৩০) এবং মো. নুরুন্নবীকে (২৫) গ্রেপ্তার করে।
পরদিন এই ৩ জন সন্দেহভাজন ডাকাত টাঙ্গাইলের পৃথক দুটি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর আদলত তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
৭ আগস্ট ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে বাস ডাকাতির ঘটনার সন্দেহভাজন মূল পরিকল্পনাকারী টাঙ্গাইলের মধুপুরের রতন হোসেনসহ ডাকাতদলের সন্দেহভাজন মোট ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
Comments