চলন্ত বাসে ডাকাতি-সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: যা জানালেন সেই নারী

টাঙ্গাইলে ডাকাতির কবলে পড়া বাসটি। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার বিস্তারিত জানিয়েছেন সেই নারী।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি বলেন, 'ডাকাতি শুরুর আগে আমার পাশের খালি সিটে ডাকাতদের একজন বসতে চাইলে তাকে বসতে দেইনি। ডাকাতি শুরু করলে আমি তাদের বাঁধা দিয়েছিলাম। এ কারণে তারা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়।'

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে ঈগল পরিবহনের একটি বাসে ঢাকা যাচ্ছিলেন ওই নারী। তিনি বলেন, 'রাত ৮টায় আমি বাসে উঠি। রাত ১১টার পরে ডাকাতরা যাত্রীবেশে সিরাজগঞ্জের ৩টি আলাদা জায়গা থেকে বাসে ওঠে।'

তিনি আরও বলেন, 'রাত ১টার দিকে তারা ডাকাতি শুরু করে। ডাকাতরা প্রথমে ছুরি ঠেকিয়ে ড্রাইভার, হেলপার ও সুপারভাইজারকে বাসের পেছনের দিকে নিয়ে সিটের সঙ্গে বেঁধে ফেলে। যাত্রীদের তারা ভীষণ নির্যাতনও করে। কয়েক ঘণ্টা পর ডাকাতি শেষে বাস থামিয়ে তারা নেমে যায়।'

ডাকাতরা বাসটি থামিয়েছিল টাঙ্গাইলের মধুপুর এলাকায়।

ওই নারী যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সেই হাসপাতালের তত্বাবধায়ক দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ইতোমধ্যে ওই নারীর প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করে রিপোর্ট দিতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।

মধুপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, এই ঘটনায় বাসের এক যাত্রী অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলা করেছেন।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানিয়েছে, এই লোমহর্ষক ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকি অপরাধীদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
jamaat-ameer-shafiqur

Second uprising, this time against corruption: Jamaat chief

Says, if elected, MPs will act as servants, not masters

1h ago