আয়ের একমাত্র উৎস ২৫০০ তরমুজ গাছ উপড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা

আয়ের একমাত্র উৎস ২৫০০ তরমুজ গাছ উপড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা
কৃষক জহির মুন্সির ২ হাজার ৫০০ তরমুজ গাছ উপড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। ছবি: সংগৃহীত

চলতি মৌসুমে দেড় একর জমিতে ২ হাজার ৫০০ তরমুজ গাছের চাষ করেছিলেন কৃষক জহির মুন্সি (৫০)। এই খেতের কোনো গাছে ফুল ফুটেছে। আবার কোনো গাছে ধরেছে ফল।

এ মৌসুমে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রির আশা করেছিলেন জহির মুন্সি। লাভবান হওয়ার পাশাপাশি ধারদেনা শোধ করারও আশা ছিল তার। কে বা কারা তার খেতের সবগুলো গাছ উপড়ে ফেলেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার দুপুরে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মাদারবুনিয়া গ্রামে। ওই ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে কৃষক জহির মুন্সি অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।

স্থানীয় তরমুজ চাষিরা জানান, ১৫ থেকে ১৬ বছর ধরে জহির মুন্সি তরমুজ চাষ করছেন। বছরে তার আয়ের উৎস এই তরমুজই। এবারও দেড় একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছিলেন। সেই গাছের কোনটিতে ফুল এসেছে। কোনটিতে ধরেছে ফলও। কিন্তু দুর্বৃত্তরা তার ক্ষেতের সবগুলো গাছ উপড়ে ফেলেছে। এতে জহিরের প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও দাবি করেন তারা।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জহির মুন্সি বলেন, 'অনেক পরিশ্রম ও ধার দেনা করে প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ করে দেড় একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। আমার সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। আমার তো কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা নাই।'

তিনি আরও বলেন, 'আমার গাছগুলো ভাল হয়েছে, এটা দেখেই স্থানীয় লোকজন আমার এই ক্ষতিটা করতে পারে না। আমি কেমনে এই ক্ষতি পোষাবো। আমি এর বিচার চাই।'

উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, 'ঘটনাটি দুঃখজনক। একজন কৃষকের পরিশ্রমের খেত এভাবে যারা নষ্ট করেছে, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।'

রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, 'আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

US tariff at 20% 'satisfactory', says Khosru

Will comment after knowing full details of the deal

2h ago