পাঞ্জাবে কৃষকদের ৪ ঘণ্টার ‘রেল রুখো’ বিক্ষোভ আজ

ভারতের কৃষকরা দিল্লি চলো বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন। ফাইল ছবি: রয়টার্স (২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪)
ভারতের কৃষকরা দিল্লি চলো বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন। ফাইল ছবি: রয়টার্স (২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪)

বেশ কিছুদিন ধরে ভারতে চলছে কৃষকদের বিক্ষোভ। শুরুতে দিল্লি অভিমুখে লং মার্চের কর্মসূচি হাতে নিলেও পুলিশের বাধায় তা সফল হয়নি। এবার কৃষকরা চার ঘণ্টার জন্য পাঞ্জাবে রেলযোগাযোগ বন্ধ রাখার চেষ্টা চালাবেন।

আজ রোববার এই তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।

কৃষকদের অরাজনৈতিক সংগঠন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (এসকেএম) ও কিষাণ মজদুর মোর্চা (কেএমএম) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত 'রেল রুখো' (রেলযোগাযোগ থামিয়ে দাও) কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে।

কেএমএম নেতা সারওয়ান সিং পান্ধের জানান, কৃষকরা পাঞ্জাবের কয়েকটি জায়গায় রেলপথের ওপর বসে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবেন। পাঞ্জাব রাজ্যের ফিরোজপুর, অমৃতসর, রুপনগর ও গুরুদাসপুর জেলায় এই কর্মসূচি পালনের কথা রয়েছে।

এসকেএম ও তার অঙ্গসংগঠনগুলোও এই বিক্ষোভে অংশ নেবে।

২০২০-২১ এর কৃষক বিক্ষোভে নেতৃত্বও দিয়েছিল এসকেএম। রেল রুখো কর্মসূচির পাশাপাশি তারা আগামী বৃহস্পতিবার দিল্লিতে 'কিষাণ মহাপঞ্চায়েত' নামে এক কর্মসূচীর ডাক দিয়েছে। এসকেএম জানায়, প্রায় ৪০০টির বেশি কৃষক সংগঠন এতে যোগ দেবে।

পাঞ্জাবের যেসব কৃষক দিল্লির উদ্দেশ্যে লং মার্চ শুরু করেছিলেন, তারা পাঞ্জাব ও হরিয়ানার সীমান্তে শম্ভু ও খানাউরি পয়েন্টে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন। 

১৩ ফেব্রুয়ারি এই 'দিল্লি চলো' কর্মসূচিকে পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তে বাধা দেওয়া হয়। জলকামান ও টিয়ার গ্যাস শেল ছুড়ে কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

কৃষকরা তাদের ট্রলিতে করে কয়েক মাসের খাবার ও অন্যান্য নিত্যপণ্য নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নিতে আসেন। তাদের সব দাবি মানা না পর্যন্ত ফিরে যাবেন না—এমনটাই বলছেন কৃষকরা। পুলিশ সড়কে পেরেক ও কংক্রিটের ব্লক বসিয়ে কৃষকদের ট্রাক্টর ও অন্যান্য বাহনকে দিল্লিতে প্রবেশ করতে দেয়নি।

গত বুধবার এসকেএম ও কেএমএম অন্যান্য রাজ্যের কৃষক ও খামারিদের দিল্লিতে এসে দাবি আদায়ের জন্য সরকারের ওপর চাপ দেওয়ার আহ্বান জানান।

১৮ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভরত কৃষকরা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাব নাকচ করে।

সব উৎপাদিত পণ্যের জন্য ন্যুনতম মূল্য নিশ্চিত করার (এমএসপি) পাশাপাশি তাদের অন্যান্য দাবির মধ্যে আছে কৃষি ঋণ মওকুফ করা ও স্বামীনাথন কমিটির সব সুপারিশের বাস্তবায়ন।

Comments

The Daily Star  | English

Leading univs withdrawing from cluster system

Undergraduate admission tests under the cluster system faces uncertainty for the 2024-25 academic year, as several prominent universities have decided to withdraw and conduct their own admission tests independently. 

9h ago