ঈদের পর তরমুজের দাম বেড়েছে দেড়গুণ

স্টার ফাইল ফটো

ঈদ-বৈশাখের উৎসবকে কেন্দ্র করে এবং চলমান তাপপ্রবাহের কারণে বেড়েছে তরমুজের চাহিদা। আর এ বাড়তি চাহিদা ও মৌসুম শেষ দিকে চলে আসায় ঈদের বন্ধের মধ্যে তরমুজের দাম দেড়গুণ বেড়ে গেছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মহাখালী, মিরপুর, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, ইব্রাহীমপুরসহ আরও কিছু এলাকার বাজার ঘুরে এমন তথ্য জানা গেছে।

গরমের কারণে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ঢাকার খুচরা বাজারে তরমুজের দাম বেড়ে ৩৫-৫০ টাকা কেজি হয়েছিল। ঈদের আগের দিনও একই দামেই তরমুজ বিক্রি হয়।

কিন্তু শনি ও রোববার বাজারে গিয়ে দেখা যায়, তরমুজের কেজি ৫০-৬৫ টাকা। গত সপ্তাহে যে তরমুজের দাম ৪০ টাকা কেজি ছিল, সেটা রোববার ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে একদিকে কেজি দরে বিক্রি যেমন বেড়েছে, তেমনি কমে গেছে 'পিস' হিসেবে বিক্রি।

কারওয়ান বাজারের তরমুজের খুচরা ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঈদের আগে, ঈদের দিন, এমনকি পরের দিনও ৪০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করেছি। যদি কেউ আকৃতি অনুযায়ী পুরোটা একদামে কিনতে চেয়েছে, সেভাবেও বিক্রি করেছি।'

তিনি জানান, পাইকারি দাম বেড়ে গেছে তরমুজের। ১০০ তরমুজের দাম ঈদের আগে ছিল ১৭ হাজার টাকা। ঈদের পরে এসে এই দাম বেড়ে হয়েছে ২৩ হাজার টাকা।

এই ব্যবসায়ী বলেন, 'তরমুজের দামের সঙ্গে পরিবহন খরচ আছে, কিছু তরমুজ নষ্ট হয়। সব মিলিয়ে লাভ টিকিয়ে রাখার জন্য আমাদের দাম বাড়াতে হচ্ছে।'

মিরপুর-১০ গোলচত্বর ফলপট্টি থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে পাঁচ কেজি ওজনের একটি ছোট তরমুজ কিনেছেন কাজীপাড়ার বাসিন্দা শামীম আহমেদ।

তিনি বলেন, 'ঈদের পরদিন একই আকৃতির তরমুজ আমি ৪০ টাকা কেজি দরে কিনেছি। তরমুজের সবগুলো দোকানে ঘুরলাম। ৬০ টাকার কমে কিনতেই পারলাম না।'

শামীম বলেন, 'গরম পড়েছে, তাই তরমুজ খাওয়া হচ্ছে। আজ বেড়াতে যাচ্ছি। অন্য ফল না কিনে গরমের কথা ভেবে তরমুজই নিয়ে যাচ্ছি।'

কারওয়ান বাজারের পাইকারি তরমুজের আড়ৎ তাওহীদ বাণিজ্যালয়ে রোববার এক ট্রাকে দুই হাজার ২০০ পিস তরমুজ এসেছে।

আড়তের সত্ত্বাধিকারী কবির হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অনেক প্রতিযোগিতা করে তরমুজ আনতে হয়েছে। বাগেরহাট থেকে এগুলো এনেছি। ঈদের আগের তুলনায় প্রতি তরমুজ ১০০ টাকা বেশি দাম দিয়ে আনতে হয়েছে। তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।'

একই বাজারের সোনার বাংলা বাণিজ্যালয়ের এক কর্মী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তরমুজের সরবরাহ ইতোমধ্যে কমে গেছে। বরিশাল অঞ্চলের তরমুজ প্রায় শেষের দিকে। এখন খুলনা অঞ্চল থেকে তরমুজ আসছে। ২০-২৫ দিন পর তরমুজ বাজারে পাওয়া যাবে না বলেই মনে করি।'

'শেষ দিকে এসে পাইকারি দাম বেড়ে গেছে, এদিকে চাহিদা বেশি। সব মিলিয়ে দাম বাড়াতে হয়েছে', বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Jatiyo Party's office set on fire in Khulna

Protesters vandalised the Jatiyo Party office in Khulna's Dakbangla area last evening

1h ago