স্কুলের আবর্জনা পোড়ানোর আগুনে স্কুলশিক্ষার্থী দগ্ধ

বরগুনায় স্কুলের আবর্জনা পোড়ানোর আগুনে এক স্কুলশিক্ষার্থী দগ্ধ হয়েছে। দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তারের (৯) শরীরের ৭২ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। 
বরগুনা

বরগুনায় স্কুলের আবর্জনা পোড়ানোর আগুনে এক স্কুলশিক্ষার্থী দগ্ধ হয়েছে। দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তারের (৯) শরীরের ৭২ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। 

আজ সোমবার দুপুরে পাথরঘাটা উপজেলার পূর্ব লাখুরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এ ঘটনা ঘটে। 

ফারজানা ওই বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী এবং একই এলাকার ফারুক মিয়ার মেয়ে।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে তাকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালমা আক্তার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, দুপুরে বিদ্যালয় মাঠে শুকনো পাতাসহ আবর্জনা আগুনে পোড়ানো হচ্ছিল। বিদ্যালয় ছুটি হলে ফারজানা বাড়ি যাওয়ার সময় আবর্জনা পোড়ানোর স্থানে যায়। ফারজানা সে সময় লাঠি দিয়ে আগুন নাড়াচাড়া করতে গেলে তার পোশাকে আগুন লেগে যায়। 

পরে তার চিৎকার শুনে পাশের স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকের সার্ভিস প্রোভাইডার ফয়সাল হোসেন ঘটনাস্থলে যান এবং ফারজানাকে নিয়ে পাশের পুকুরে ঝাঁপ দেন। 

তবে তার আগেই ফারজানার দুই পা ও মুখ ছাড়া শরীরের বাকি অংশ আগুনে পুড়ে যায় বলে প্রধান শিক্ষক জানান।

ফয়সাল হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ফারজানাকে নিয়ে প্রথমে পাশের পুকুরে ঝাঁপ দেই। পরে দ্রুত তাকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রেফার করেন।'

জানতে চাইলে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাইফুল হাসান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ওই শিক্ষার্থীর শরীরের ৭২ ভাগ ঝলসে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। আর অবস্থা আশঙ্কাজনক।'

Comments