ঢাবির মৈত্রী বাস দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ আহত ১০

দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের বহনকারী একটি বাস দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ ১০ জন আহত হয়েছেন৷

আজ বুধবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে যাত্রাবাড়ীর কাজলাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে৷ বাসের ভেতরে থাকা শিক্ষার্থী ও চালক ছাড়া অন্য কেউ এই ঘটনায় আহত হননি।

মৈত্রী রুটের বাসটির চাকা চলন্ত অবস্থায় পাংচার হয়ে ডান দিকে হেলে রাস্তার ডিভাইডারের উপরে উঠে যায়৷

এ ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাসে থাকা শিক্ষার্থীরা৷

এ ঘটনায় বাসটির চালক ইউনুস প্রধান সবচেয়ে বেশি আহত হয়েছেন। শিক্ষার্থীরা তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে৷

মৈত্রী বাসটি নারায়ণগঞ্জের আইইটি থেকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার হয়ে ঢাবি ক্যাম্পাসে আসে৷

এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে রয়েছেন অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল মহিমা, ইসলামের ইতিহাস   ও সংস্কৃতি বিভাগের আরিফুর রহমান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিশির চন্দ্র দাস, চাইনিজ অ্যান্ড কালচার বিভাগের মাহবুব আলম, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগের আমির হোসেন৷

আমির হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাসটির চাকা ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ৷ চাকা পরিবর্তনের জন্য একাধিক বার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তা পরিবর্তন করা হয়নি৷ আজকে ফ্লাইওভারের ওপর যদি এই ঘটনা ঘটতো, তাহলে বাসটি নিচে পড়ে যেত। তেমন কিছু হলে হয়তো আরও ভয়াবহ কিছু হতো।'

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সানা উল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাসটি চাকা পাংচার হয়ে রাস্তার ডিভাইডারের ওপর উঠে যায় এবং প্রায় ১০ জন আহত হন৷'

একাধিকবার আবেদন করে মেয়াদোত্তীর্ণ চাকা পরিবর্তন করা না করার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ ম্যানেজার কামরুল হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার কাছে এ ধরনের আবেদন আসলে সঙ্গে সঙ্গে টেকনিক্যাল অফিসারের দপ্তরে অবগত করি৷ এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারা চাকা পরিবর্তন করে দেয়৷ গাড়ির চালককে এক সপ্তাহ আগে চাকা দেওয়া হয়েছে। তিনি এখনও চাকা পরিবর্তন করেননি। এমন হওয়ার সুযোগ নেই যে আবেদন করে চাকা পায়নি৷ আমাদের কাছে চাকার স্টক থাকে।'

Comments

The Daily Star  | English

Cyber protection ordinance: Draft fails to shake off ghosts of the past

The newly approved draft Cyber Protection Ordinance retains many of the clauses of its predecessors that drew flak from across the world for stifling freedom of expression.

8h ago