নিজের লড়াইকে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামের সঙ্গে তুলনা করলেন ইমরান খান

নিজের লড়াইকে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামের সঙ্গে তুলনা করলেন ইমরান খান
মঙ্গলবার আগাম নির্বাচনের দাবিতে রাজধানী ইসলামাবাদ অভিমুখে লং মার্চের পঞ্চম দিনে গুনজ্রাওয়ালাতে পথসভায় বক্তব্য রাখেন ইমরান খান। ছবি: এএফপি

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দেশটির ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে তার চলমান লড়াইকে বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লড়াইয়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধান ইমরান খান তার এক বক্তব্যে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে বর্তমান পিটিআইয়ের তুলনা করেছেন ।

গতকাল মঙ্গলবার আগাম নির্বাচনের দাবিতে রাজধানী ইসলামাবাদ অভিমুখে লং মার্চের পঞ্চম দিনে গুনজ্রাওয়ালাতে পথসভায় এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগকে নির্বাচনী ম্যান্ডেট থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল এর ফলে পাকিস্তানের পূর্বাংশ (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) 'বাংলাদেশ' নামে স্বাধীন রাষ্ট্র হয়ে যায়। একজন চতুর রাজনীতিবিদ (জুলফিকার আলী ভুট্টো) ক্ষমতার লোভে সশস্ত্র বাহিনীকে তৎকালীন বৃহত্তম দলের (আওয়ামী লীগ) বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছিলেন। 

তৎকালীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে বর্তমান পিটিআইয়ের তুলনা করে ইমরান খান জানান, তার দল পাকিস্তানের 'সবচেয়ে বড় এবং একমাত্র ফেডারেল দল' এবং তবুও সরকার তাকে নির্বাচন করতে দিচ্ছে না।

মঙ্গলবার লং মার্চের বক্তব্যে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, 'সবাই জানে মুজিবুর রহমান এবং তার দল ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল। ক্ষমতা হস্তান্তর করার পরিবর্তে একজন চতুর রাজনীতিবিদ আওয়ামী লীগ এবং সেনাবাহিনীকে সংঘর্ষের পথে ঠেলে দিয়েছিলেন... বর্তমানে নওয়াজ শরিফ এবং আসিফ জরদারি একই ভূমিকা পালন করছেন। তারা পিটিআইয়ের ক্ষমতায় ফিরে যাওয়ার যাত্রাকে বাধা দেওয়ার জন্য একইভাবে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছে।'

সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতার চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি বলেন, 'নওয়াজ শরীফ আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ করছি: আপনি ফিরে এলে আমি আপনাকে আপনার নির্বাচনী এলাকায় হারাবো।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

16h ago