অবশেষে আলোচনায় বসছেন পাক-ভারত শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতির মাঝে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে কড়া প্রহরা। ছবি: এএফপি
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতির মাঝে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে কড়া প্রহরা। ছবি: এএফপি

কয়েকদিনের অস্থিরতা ও আশঙ্কাজনক যুদ্ধ পরিস্থিতির পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে নতুন সূর্য উদয় হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় 'পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে' রাজি হওয়ার পর এবার দুই দেশের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণে বৈঠক করবেন।

আজ সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।

যুদ্ধবিরতির শুরুতে উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে তা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনলেও গতকাল রোববার রাতে কোনো বিস্ফোরণ বা আকাশ পথে হামলার ঘটনা ঘটেনি।

ভারতীয় সেনাবাহিনী দাবি করেছে—সম্প্রতি সীমান্তবর্তী এলাকায় রোববার রাতই ছিল প্রথম 'শান্তিপূর্ণ রাত'। তবে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজও বন্ধ আছে।

গত শনিবার ভারত ও পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণাধীন জম্মু-কাশ্মীরে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে টানা চার দিন দুই পক্ষের মধ্যে হামলা, পাল্টা হামলা চলে। পুরো সময় কূটনৈতিক তৎপরতা ও ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে দ্রুত এই সংঘাত বন্ধের চাপ অব্যাহত ছিল।

গতকাল ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানকে এর আগের দিন যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের বিষয়ে 'হটলাইনে' বার্তা পাঠায়। ভারতের এক শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা জানান—ওই উদ্যোগে প্রমাণিত হয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো লঙ্ঘনের ঘটনার জবাব দিতে নয়াদিল্লি প্রস্তুত।

তবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

গত শনিবার এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উভয় পক্ষের সামরিক দপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আজ সোমবার দুপুরে বৈঠকে বসবেন।

এই আলোচনার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি পাকিস্তান।

ইসলামাবাদ ওয়াশিংটনকে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে। পাশাপাশি, কাশ্মীর নিয়ে ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাবকেও স্বাগত জানিয়েছে দেশটি।

তবে নয়াদিল্লি এখনো এই যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা বা নিরপেক্ষ অবস্থানে সম্ভাব্য দ্বিপাক্ষিক বৈঠক আয়োজন নিয়ে মন্তব্য করেনি।

ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেস পাকিস্তানের বিষয়ে সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনের আহ্বান জানিয়েছে।

কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট সামাজিকমাধ্যম এক্স-এ বলেন, 'কাশ্মীর প্রসঙ্গে আমেরিকার বক্তব্য সম্পর্কে সরকারকে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে, যেহেতু এটা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়।'

ভারতের মতে পাকিস্তানের সঙ্গে বিবাদের বিষয়গুলো দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই নিরসন করা উচিত। এ ক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষের সংশ্লিষ্টতা বরাবর নাকচ করে আসছে নয়াদিল্লি।

ভারত, পাকিস্তান ও চীন হিমালয় পর্বতের পাদদেশে জম্মু-কাশ্মীরের অংশবিশেষ নিয়ন্ত্রণ করে।

ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বিদ্রোহ উসকে দেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে দায় দেয় নয়াদিল্লি। এ ক্ষেত্রে পাকিস্তানের জবাব—তারা কাশ্মীরিদের শুধু নৈতিক, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সমর্থন যোগায়।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh asks India to halt border push-ins, cites security concerns

The move follows reports that BSF pushed in around 300 people into Bangladesh between May 7 and May 9

1h ago