সিউলে টানা ৩ দিন রেকর্ড বৃষ্টিপাত, নিহত ৯ ও নিখোঁজ ৭

সিউলে ৩ দিনের ভারী বর্ষনে রাস্তায় গাড়ি আটকে যায়। ছবি: রয়টার্স
সিউলে ৩ দিনের ভারী বর্ষনে রাস্তায় গাড়ি আটকে যায়। ছবি: রয়টার্স

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল ও এর আশেপাশের এলাকায় টানা ৩ দিনের রেকর্ড বর্ষণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আড়াই হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে গেছে এবং এ পর্যন্ত ৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নিখোঁজ আছেন আরও ৭ জন।

আজ বুধবার কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কোরিয়া হেরাল্ড।

ভারী বর্ষণ ও বন্যায় সিউলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ছবি: এপি
ভারী বর্ষণ ও বন্যায় সিউলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ছবি: এপি

কোরিয়া আবহাওয়া প্রশাসনের (কেএমএ) দেওয়া তথ্য মতে, সোমবার থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত সিউলে মোট ৫২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। সিউল থেকে ৪৫ কিলোমিটার পূর্বে ইয়াংপিওং এ একই সময়ে ৫২৬ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়।

সিওলে ৫, গিওনজি প্রদেশে ৩ ও গ্যাংওয়ান প্রদেশে ১ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও সিউল ও গিওনজি প্রদেশে যথাক্রমে ৪ ও ৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন। সরকারি তথ্য মতে, মোট ১৭ জন আহত হয়েছেন।

মোট ২ হাজার ৬৭৬টি বাড়ি ও দালান পানিতে ডুবে গেছে, যার বেশিরভাগই সিউলে অবস্থিত।

সিউলের এই বাজারটি পানিতে ডুবে গেছিল। ছবি: রয়টার্স
সিউলের এই বাজারটি পানিতে ডুবে গেছিল। ছবি: রয়টার্স

৩৯৮টি বাসস্থান থেকে ৫৭০ জন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই সিউলের বাসিন্দা। এ মুহূর্তে তারা স্থানীয় স্কুল ও ব্যায়ামাগারে আশ্রয় নিয়েছেন।

কর্মকর্তারা জানান, আরও ৭২৪টি বাড়ির ১ হাজার ২৫৩ জন মানুষকে সাময়িকভাবে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

৩ দিনের বিরামহীন বৃষ্টিতে অনেক সরকারি সুবিধা বিঘ্নিত হয়েছে। বৃহত্তর সিউলে ৬টি অবস্থানে রেলপথ পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে, যার ফলে রেল ও পাতালরেল সেবা সাময়িকভাবে বিঘ্নিত হয়েছিল। 

তবে বুধবার সকাল নাগাদ সিউলের পাতালরেল সেবা সহ বেশিরভাগ সরকারি সেবা আবারও কার্যকর হয়েছে।

কিম সান ওকের রেস্তোরাঁর ভেতর বৃষ্টির পানি ঢুকে গেছিল। ছবিঃ রয়টার্স

তবে বাড়তি সতর্কতার জন্য কর্তৃপক্ষ আজ বুধবার সকালে সিউলের আশেপাশের কিছু মহাসড়ক বন্ধ করে দিয়েছে, যার মধ্যে আছে অলিম্পিক ও গ্যাংবাইওন নর্দার্ন মহাসড়ক, যেটি শহরের মধ্য দিয়ে গেছে।

বন্যার পানিতে পুরোপুরি নিমজ্জিত হয়ে যায় সিউলের এই পার্কটি। ছবি: এপি
বন্যার পানিতে পুরোপুরি নিমজ্জিত হয়ে যায় সিউলের এই পার্কটি। ছবি: এপি

কেএমএ বুধবার সকালে বৃহত্তর সিউল ও সিউলের পশ্চিমে অবস্থিত ইনচেওন এলাকার বৃষ্টিপাত সতর্কবাণী প্রত্যাহার করেছে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার কেন্দ্রে অবস্থিত চাংচিওং প্রদেশে এখনও সতর্কতা বজায় রাখতে বলেছে সংস্থাটি। সংস্থার পূর্বাভাষ মতে, আগামী দিনগুলোতে এ অঞ্চলে প্রতিদিন ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৮০ মিলিমিটার করে বৃষ্টিপাত হতে পারে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh-US tariff talks underway in Washington

Based on progress made so far, Bangladesh hopes for a positive outcome

5h ago