কার্টুনিস্ট কুদ্দুসকে একুশে পদক দেয়া হোক

ছবি: সংগৃহীত

কার্টুনিস্ট এম এ কুদ্দুস কি জীবদ্দশায় কোন রাষ্ট্রীয় সম্মান পেয়েছিলেন, পাননি। দিনের পর দিন প্রভাববিস্তারি শিল্পের  ভূমিকাকে এগিয়ে নিয়েছেন, সংবাদপত্রকেও জনপ্রিয় করেছেন। উনার কার্টুনের বিষয় ছিল বহুমাত্রিক, যার কেন্দ্রে ছিল ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান-সমাজ ও রাষ্ট্রকে সচেতন করে তোলার প্রয়াস। কুদ্দুসের কার্টুন দেখলেই বোঝা যায়, সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি কতখানি দায়বদ্ধ ছিলেন। ব্যক্তিমানস ও কর্মযোগ-সর্বত্রই হাজির ছিল সমষ্টির কল্যাণ আকাঙ্ক্ষা। 

কুদ্দুসের স্বকীয় শিল্পচেতনা ও ব্যক্তির গড়ন অন্যদের থেকে স্বতন্ত্র করে তুলেছিল। এ কারণে ঈর্ষার শিকারও হয়েছিলেন তিনি। এ কারণে একজন শিল্পী হিসেবে যে সম্মান ও মর্যাদা প্রাপ্তির কথা, তা পাননি। ইহজাগতিকতায় তিনি-নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে গেছেন। এখন আমরা কি পালন করব না, আমাদের করণীয়সমূহ। রাষ্ট্র কি উনাকে জানাবে না যথোচিত সম্মান  ও মর্যাদা? আমরা আশাবাদী। আমরা মনে করি সাংবাদিকতায় মোনাজাতউদ্দিনকে 'একুশে পদক' দিয়ে রাষ্ট্র যে কর্তব্য  পালন করেছিলেন; একই দৃষ্টান্ত হাজির করবেন কার্টুনিস্ট কুদ্দুসের ক্ষেত্রে। এবং সেটাই হবে আমাদের সকলের পক্ষ থেকে কুদ্দুসকে যোগ্য সম্মান ও মর্যাদা প্রদানের নজির।

ভাষার কত সীমাবদ্ধতা! প্রিয় মানুষের বিদায়কেও সে সঠিক ও যথার্থভাবে ব্যক্ত বা  ধারণ করতে পারে না। একে কি ভাষার দুর্বলতা বলা যায়? নাকি, ভাষার ধর্ম এটাই, এর মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে তার সমূহ সৌন্দর্য। ভাষা হয়তো বলে, সবকিছু শব্দ দিয়ে প্রকাশ করতে নেই। মাঝে মাঝে নিঃশব্দ হতে হয়। কুদ্দুস ভাইয়ের মৃত্যু আমাদেরকে সেই নিঃশব্দতার অতলে নিয়ে গেছে।

কুদ্দুস ভাই কার্টুনিস্ট ছিলেন। কার্টুনকে যারা জনপ্রিয় করেছেন, শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন, তিনি তাঁদের অন্যতম। তবে, এটাও বলতে হবে যে, অন্যদের আরও পরিচয় ছিল, কিন্তু কুদ্দুস ভাই শুধু কার্টুন নিয়েই ছিলেন। কার্টুনিস্ট পরিচয়েই নিজেকে নির্মাণ করেছেন। এই যে, একটা জীবন একটা শিল্প মাধ্যম নিয়ে কাটিয়ে দেয়া। এটা কিন্তু চারটেখানি কথা নয়। এর জন্য সাধনা লাগে, নিষ্ঠা লাগে, লাগে কাজের প্রতি গভীর প্রেম ও হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা। কার্টুনের জন্য উনার এসবের সবটাই ছিল মন-প্রাণ থেকে উৎসর্গীকৃত, যার জন্য পুরোটা দিতে এক মুহূর্তের জন্যও কার্পণ্য করেননি।

নিজের কাজের টেবিলে কার্টুনিস্ট কুদ্দুস। ছবি: সংগৃহীত

কুদ্দুস ভাইয়ের ছিল একটাই মাত্র নেশা, কার্টুন আঁকা, কার্টুনের বিষয় খুঁজে বেড়ানো, কার্টুনের সংলাপ নিয়ে ভাবা। এ জন্য তিনি বইপত্র, ম্যাগাজিন ও প্রতিদিনের পত্রিকা যেমন পড়তেন, তেমনি মানুষও পাঠ করতেন। কেবল মানুষ? মানুষকে ঘিরে পরিবেশ-প্রতিবেশের যে চক্র তার সমগ্রটাকে প্রতিনিয়ত পাঠ করে চলতেন তিনি। উনার মতো দ্বিতীয় আর ক'জন আছেন, যিনি কার্টুনের জন্য এতোটা নিবেদিত প্রাণ ছিলেন? সংবাদ অফিসে সকলে কাছে একবাক্যে যিনি প্রিয় ছিলেন, তিনি হলেন কার্টুনিস্ট কুদ্দুস। অফিসের অভ্যর্থনাকারী, অফিস সহকারী থেকে শুরু করে একেবারে বজলু ভাই (সংবাদ সম্পাদক বজলুর রহমান), বুলবুল ভাই ( মনজুরুল আহসান বুলবুল), মুনীর ভাই (খন্দকার মুনীরুজ্জামান) সকলের কাছেই প্রিয় তিনি।

প্রত্যেকের সঙ্গেই ছিল দাপ্তরিক সম্পর্কের পাশাপাশি ব্যক্তিগত সম্পর্ক। মানুষকে জানার, পড়ার আগ্রহ থেকেই এই সম্পর্কগুলোর ব্যাপারে আগ্রহী ও যত্নশীল ছিলেন। এ ব্যাপারে তিনি দায়িত্বশীলও ছিলেন। কারও কোন প্রয়োজনে উনাকে পাশে পাওয়া যেত সবার আগে। আর ও একটা গুণ ছিল বিশেষভাবে চোখে পড়ার মতো। উনি খুবই সাধারণ ও নিরহংকারী জীবনযাপন করতেন, অমায়িক ব্যবহারে অভ্যস্ত ছিলেন। এ কারণে খুব সহজে সকলেই উনাকে আপন করে নিতেন, উনিও অন্যদেরকে কাছে টানার সহজাত গুণের অধিকারী ছিলেন। এসব কারণেই কার্টুনিস্ট কুদ্দুস মানেই নির্ভেজাল আড্ডা, হৃদয়খোলা আলাপ, আর এসবের মধ্যে দিয়ে একে অপরকে কাছে টানার, মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ করার ব্যতিক্রমী এক প্ল্যাটফর্ম।

যিনি একজন নিখাদ কার্টুনিস্ট, প্রতিদিনের কার্টুন নিয়ে যাকে ভাবতে হত প্রতিমুহূর্তের নিঃশ্বাস নেয়ার মতো করে; তিনি একটু ধূমপান করবেন না, তাই কি হয়? কুদ্দুস ভাই ধূমপান করতেন, সঙ্গে এক কাপ চা। আমরা সঙ্গ দিতাম, আলাপ হত, তর্ক হত। আমরা স্বপ্নের কথা বলতাম। দেশ নিয়ে, রাষ্ট্র নিয়ে, সমাজ নিয়ে, সংবাদপত্র নিয়ে ভাবনার কথা বলতাম। কীভাবে একটা রাষ্ট্র জনমানসের কল্যাণে নির্মিত হতে পারে, কীভাবে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যেতে পারে, কীভাবে একটা সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো যেতে পারে তাই নিয়ে আমরা একে-অপরের মত-দ্বিমত জারি রাখতাম। উনি শিল্পী হলেও অনেক বাস্তববাদী ছিলেন। সম্ভবত পরিবারের বড়ো সন্তান হওয়ায় বৈষয়িকও ছিলেন। দায়িত্বশীলতার ব্যাপারেও ছিলেন বাবরের মতো।

কর্তব্যবোধ আর দায়িত্বশীলতার উদাহরণে যে কোন পরিবারে-প্রতিষ্ঠানে-সমাজে-রাষ্ট্রে এমনকি বন্ধুমহলেও কুদ্দুস ভাইয়ের মতো লোক অনেক বেশি প্রয়োজন। আমাদের অনন্য এই কুদ্দুস ভাইয়ের ধূমপান করা নিয়ে আমরা মাঝে মাঝে উষ্মা প্রকাশ করতাম। বলতাম, অনেক তো হলো, এবার না হয় সিগারেটটা ছাড়ুন। উনি বলতেন, সিগারেট কোন ফ্যাক্টর না, কাজল। ফ্যাক্টর হলো আপনার ইচ্ছাশক্তি। আপনি যতবছর বাঁচতে চাইবেন ঠিক তত বছরই বাঁচবেন। এজন্য আমার (কুদ্দুস ভাইয়ের) পরামর্শ হল সবসময় একশ বছর বাঁচার ইচ্ছা পোষণ করবেন, তা হলে দেখবেন কমপক্ষে আশি বছর সুস্থভাবে বেঁচে আছেন। সন্তোষদা'র (সন্তোষ গুপ্ত) উদাহরণ দিতেন। আমাকে দেয়া এই পরামর্শ কুদ্দুস ভাই কি ভুলে গেছিলেন? তা না হলে তিনি কেন এত দ্রুত চলে গেলেন?

বাঙালি জাতীয়তাবাদ, মুক্তিযুদ্ধ, মানবমুক্তি, গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা, প্রগতিশীলতার প্রশ্নে কুদ্দুস ভাই ছিলেন আপসহীন, লক্ষ্যভেদী ও অবিচল একজন শিল্পী। উনার কার্টুনের সঙ্গে পরিচিতরা এসব বিষয়ে নিশ্চয় ওয়াকিবহাল রয়েছেন। উনার জন্য সবচেয়ে বেদনার বিষয় হল, কার্টুন শিল্পের সবচেয়ে দুঃসময়ে চলে যাওয়া। কার্টুনিস্ট কুদ্দুস তো বটেই দেশের বেশীরভাগ কার্টুনিস্ট চিন্তা-চেতনায় যে রাজনৈতিক দলটির প্রতি মতাদর্শিক সমর্থন জারি রেখেছিলেন-আজোও রেখেছেন, তারাই যখন ক্ষমতায়-তখন এদেশের সংবাদপত্র জগৎ থেকে কার্টুন 'নেই' হয়ে গেল। দলটি ভুলে গেল সংবাদপত্র থেকে কার্টুন সংস্কৃতি অপসারিত হওয়া মানে বাক্ স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়া। অথচ নিজেরা যেমন দেখেছি, কুদ্দুস ভাইয়ের কাছেও শুনেছি তিনি কতভাবেই না শিল্পের শক্তিমত্তা ও সামর্থ্য দিয়ে দলটির পাশে দাঁড়িয়েছেন।

কার্টুনিস্ট কুদ্দুসের কাজের ডিজাইনটি ইআরকির সৌজন্যে

সেসব দিনগুলোতে তিনি নামে-বেনামে-নাম উহ্য রেখে, কত পোস্টার, কত কার্টুন, কত পেইন্টিং, কত স্কেচ আর রেখাচিত্রই না এঁকে দিয়েছেন। দলটির দুঃসময়ে নেতা-নেত্রী থেকে শুরু কর্মী-সমর্থকরা যখন যা চেয়েছেন, দলের সাংস্কৃতিক উইংসের সদস্যরা যে আবদার করেছেন কুদ্দুস ভাই তার সবটাই-যথাসাধ্য দিয়েছেন। সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর সঙ্গেও ছিল উনার সহজ, সাবলীল ও শিল্পময় এক সম্পর্ক।  তাদের চাহিদা পুরণেও তিনি ছিলেন আন্তরিক ও উদারমনা। কুদ্দুস ভাইয়ের এসব অবদানকে যদি মনে না রাখা হয়, যথাযোগ্য সম্মান দেয়া না হয়, তা হলে সেটা হবে উনার শিল্প প্রতিভাবে আড়াল করার শামিল।

কুদ্দসের কার্টুনের যাত্রা শুরু হয়েছিল অধুনালুপ্ত আজকের কাগজ পত্রিকায়। কিন্তু সংবাদ-ই উনার বিকাশ ও নির্মাণপর্বকে শক্তভিতের ওপর দাঁড় করিয়েছে। মাঝে কিছুটা সময়ের জন্য ইত্তেফাক-এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু সেই অর্থে সেখানে নিজেকে মেলে ধরবার কিংবা খোলতাইরূপে প্রকাশের সুযোগ পাননি। আবারও ফিরে গেছেন সংবাদ-এ। প্রতিষ্ঠানটিও উনার প্রতি সদয় ও আন্তরিকতা দেখিয়েছেন। সবচেয়ে বড় কথা উনাকে যথাযোগ্য সম্মান ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। মনে পড়ে, আমরা তখন 'সংবাদ'-এ, সেইসময়ের একটা ঘটনায় কুদ্দুস ভাই অভিমানবশত সংবাদ ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

পদত্যাগ পত্র দিয়ে বাসায় চলে যান। সবাই এতে কেবল অবাক হন না, কিংকর্তব্যবিমূঢ়। কেননা, তখন কুদ্দুস আর সংবাদ দুয়ে মিলে অভিন্ন এক সত্তা হয়ে উঠেছিল। সংবাদ মানেই কুদ্দুসের কার্টুন আর কুদ্দুসের কার্টুন মানেই সংবাদ। মালিকপক্ষও জানতেন সংবাদ তখনও যে যে কারণে জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী একটা পত্রিকা তার অন্যতম একটা কারণ কুদ্দুসের কার্টুন। বিষয়টা উপলব্ধি করে মিশু ভাই (আলতামাশ কবীর মিশু, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সংবাদ) নিজেই গেলেন কুদ্দুসের বাসায়। তিনি তখন সম্ভবত মিরপুরে-শেওড়াপাড়ার দিকে থাকতেন। গলিতে মিশু ভাইয়ের অতবড় গাড়ি ঢোকে না। দূরে গাড়ি রেখে অনেকখানি পায়ে হেঁটে গিয়ে বাসায় পৌঁছান- উনাকে রাজি করান। তারপর গাড়িতে করে অফিসে নিয়ে আসেন। মুহূর্তে সংবাদ অফিসে আনন্দের বান ডেকে যায়।

কুদ্দুসের জন্ম, বেড়ে ওঠা রাজবাড়িতে। উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিয়ে করেছেন নিজ জেলাতেই। বিয়ের পর বাসায় না গিয়ে রাজবাড়ি থেকে সরাসরি ঢাকায় এসেছিলেন । বুলবুল ভাই ওই অবস্থায় কার্টুন করে দিতে বললেন। কুদ্দুস দুর্দান্ত একটা কার্টুন আঁকলেন। বিয়েকে মিলিয়ে দিলেন ওই সময়ের রাজনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে। ব্যাপক আলোচিত হয়ে সেই কার্টুন। কুদ্দুসের কার্টুনভাগ্য ইর্ষণীয়। বেশীরভাগ কার্টুন জনপ্রিয় হয়েছে। যা অন্যদেরকে ইর্ষা ও সমালোচনার খোরাক যুগিয়েছে।

বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজনীতির এই বাস্তবতা কুদ্দুসকে আহত করেছে। সাংস্কৃতিক রাজনীতির এলিটদের বর্গীকরণ-আলাদা করার চেষ্টা কতোটা ভয়ঙ্কর তা টের পাওয়া যায় উনার মৃত্যুর আগে ও পরের ঘটনায়। এ কারণে উনাকে কখনোই প্রাপ্য সম্মান দেয়া হয়নি। কুদ্দুস এসবকে থোড়াই কেয়ার করেছেন এবং কার্টুনকেই তার ইচ্ছা প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

কার্টুন আঁকতে গিয়েই উপলব্ধি করেছেন এখানে রাজনীতিই সবকিছুর নিয়ন্ত্রক। সেই রাজনীতিকে তিনি বুঝতে চেয়েছেন। নিজের মেধা, প্রজ্ঞা, শ্রম ও নিষ্ঠা দিয়ে তার পরিশুদ্ধি ও উন্নয়ন চেয়েছেন। এসব লক্ষ্যে পৌঁছানোর উপায় হিসবে যুক্ত হয়েছিলেন সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সঙ্গে। সেখানে তিনবার নির্বাচন করেছেন, দুবারই বিপুল ভোটে পাশ করেছেন। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ছিলেন সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি। নিজের আঁকা কার্টুনের মতো করে এখানেও তিনি ক্ষুরধার ভূমিকা পালনের চেষ্টা করেছেন।

আমরা মনে করি, প্রগতিশীলতার প্রতি কুদ্দুস-যে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের নজির রেখেছেন-কার্টুনের মাধ্যমে রং ও রেখায়- যেভাবে মানুষের ন্যায্য অধিকারের কথা বলেছেন, সমস্যাকে চিহ্নিত করেছেন-এর জন্য উনাকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা উচিৎ। উনাকে 'একুশে পদক' দেয়া জরুরি। আমাদের মনে পড়ে সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিনের কথা। ১৯৯৫-এর ২৯ ডিসেম্বর ফেরি দুর্ঘটনায় মারা যান। ১৯৯৭-তে সাংবাদিকতায় মোনাজাতউদ্দিনকে দেয়া হয় 'একুশে পদক'। আজও মোনাজাত উদ্দিনের প্রসঙ্গ এলে-এই পদকের কথা স্মরণ হয়।

আমরা মনে করি, সাংবাদিক মোনাজাতের ক্ষেত্রে যে ধর্ম পালন করেছে রাষ্ট্র, কার্টুনিস্ট কুদ্দুসের ক্ষেত্রেও একই ধর্ম পালন করা রাষ্ট্রের কেবল দায় নয়, কর্তব্যও বটে।

Comments

The Daily Star  | English

Cyber protection ordinance: Draft fails to shake off ghosts of the past

The newly approved draft Cyber Protection Ordinance retains many of the clauses of its predecessors that drew flak from across the world for stifling freedom of expression.

9h ago