ত্রাণের পর গাজার বিদ্যুৎ সংযোগও বন্ধ করে দিল ইসরায়েল

দক্ষিণ গাজার একটি ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্ট থেকে খাবার পানি নিচ্ছে এক শিশু। বিদ্যুতের অভাবে আজ বন্ধ হয়ে গেছে এই প্ল্যান্টও। ছবি: এএফপি

গাজায় ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার পর আজ উপত্যকাটির বিদ্যুৎ সংযোগও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল। জিম্মি মুক্তির আলোচনায় হামাসের ওপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা হিসেবে দেশটি এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আজ সোমবার গার্ডিয়ান ও এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানিয়েছে, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হলে গাজায় খাবার পানি সরবরাহ অনেক কমে আসবে।

এএফপি জানায়, ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে ইসরায়েল আবারও গাজায় 'খাদ্য সংকট' তৈরি করছে এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ করেছে জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ক্যাথরিন দেশাউয়ার বলেন, 'গাজায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং পানি সরবরাহ বন্ধের আলোচনা নিয়ে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।'

'এ ধরনের পদক্ষেপ একেবারেই অগ্রহণযোগ্য এবং আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ,' যোগ করেন তিনি।

ইসরায়েলের জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী এলি কোহেন এক ভিডিও বার্তায় বলেন, 'সব ইসরায়েলি জিম্মির প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে আমরা সব ধরনের উপায় ব্যবহার করব এবং যুদ্ধের পর হামাস আর গাজায় থাকতে পারবে না।'

ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তকে 'সস্তা ব্ল্যাকমেইল' আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানিয়েছে হামাস।

সংগঠনটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ইজাত আল-রিশক এক বিবৃতিতে বলেন, 'খাবার, ওষুধ ও পানির পর এবার গাজার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত দখলদার গোষ্ঠীর নির্লজ্জ চাপ সৃষ্টির অংশ।'

সাম্প্রতিক সময়ে গাজায় বিমান হামলাও বাড়িয়েছে ইসরায়েল। সামরিক কর্মকর্তারা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, উপত্যকাটিতে আবার বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালানোর প্রস্তুতি চলছে।

ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের মেয়াদ এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে এবং এরমধ্যে বাকি জিম্মিদের হস্তান্তর করানোর দাবি জানিয়ে আসছে।

হামাসের হাতে এখনো অন্তত ৫৮ জন ইসরায়েলি জিম্মি আটক আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের মেয়াদ শেষ হয়েছে এই মাসের শুরুতে। পূর্ব আলোচনা অনুযায়ী, এর পরপরই দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা। দ্বিতীয় ধাপে বাকি ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি সেখান থেকে ইসরায়েলি বাহিনীকে পুরোপুরি প্রত্যাহারের কথা ছিল।

হামাস এখনো এই পরিকল্পনা অনুযায়ীই দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে যাচ্ছে। 

Comments

The Daily Star  | English
Apparel Buyers Delay Price Increases Post-Wage Hike Promise

Garment exports to US grow 17%

Bangladesh shipped apparels worth $5.74 billion in the July-March period to the USA

5h ago