লেবাননের নাবাতিয়েহতে ইসরায়েলের ১২ দফা বিমান হামলা, মেয়রসহ নিহত ৫

লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের নাবাতিয়েহ শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলার পরের দৃশ্য। ছবি: এএফপি
লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের নাবাতিয়েহ শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলার পরের দৃশ্য। ছবি: এএফপি

লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের শহর নাবাতিয়েহর ওপর বড় আকারে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এই হামলায় শহরের মেয়রসহ মোট পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

আজ বুধবার দুই নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

নাবাতিয়েহ শহরের পৌরসভা ভবন ও অন্যান্য সরকারি কার্যালয়ে যুদ্ধ বিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে হামলা চালায় ইসরায়েল। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপে জীবিত অবস্থায় কেউ আটকে আছেন কী না, তা খুঁজে দেখা হচ্ছে।

আল জাজিরা জানিয়েছে, দক্ষিণের এই শহরে আজ ১২ দফা বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে নাবাতিয়েহর মেয়র আহমাদ কাহিলও আছেন।

গভর্নর হোওয়াইদা তুর্ক বলেন, 'এটি একটি গণহত্যার ঘটনা। নাবাতিয়েহর মেয়রসহ অন্যরা শহীদ হয়েছেন।'

হামলার সময় মেয়র কাহিল পৌরসভা ভবনের ভেতরে ছিলেন বলে জানান তুর্ক। উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, আরও অনেকেই নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলের দাবি

লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের নাবাতিয়েহ শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলার পরের দৃশ্য। ছবি: এএফপি
লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের নাবাতিয়েহ শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলার পরের দৃশ্য। ছবি: এএফপি

পৌরসভা ভবনে হামলার পর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, তারা নাবাতিয়েহ অঞ্চলে 'বেশ কিছু হিজবুল্লাহ অবস্থানে' হামলা চালিয়েছে।

আইডিএফ জানায়, বিমানবাহিনী 'সামরিক ভবন, সামরিক সদরদপ্তর ও অস্ত্র-গোলাবারুদের গুদামে' আঘাত হেনেছে।। এসব স্থাপনাগুলো হিজবুল্লাহ 'বেসামরিক ভবনের কাছে স্থাপন করে বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছিল।'

আইডিএফ আরও জানায়, তারা লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ভূগর্ভস্থ অবকাঠামোর খোঁজ পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়েছে।

পাশাপাশি, এসব অবস্থানে মানুষ বসবাসের চিহ্ন ও অস্ত্র খুঁজে পাওয়ার দাবি জানায় ইসরায়েলি বাহিনী।

'লেবাননের সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ির নিচে এই অবকাঠামোর অস্তিত্ব ছিল। এর প্রবেশপথ একটি গ্রামের একেবারে মাঝখানে। এই বাড়িগুলোকে লেবাননের সন্ত্রাসীরা তাদের কাজে ব্যবহার করত', জানায় তারা।

এই পথ ধ্বংসের দাবি করেছে আইডিএফ।

লেবাননে ইসরায়েলের অভিযান

২৩ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে দেশটির সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে বিমান হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। এক সপ্তাহ পর স্থল অভিযানও শুরু করে দেশটি।

ইসরায়েলের এই অভিযানের উদ্দেশ্য, লেবানন-ইসরায়েল সীমান্ত থেকে হিজবুল্লাহকে পিছু হটতে বাধ্য করা।

এই অভিযান শুরুর পর থেকে আনুষ্ঠানিক হিসাব মতে লেবাননে অন্তত এক হাজার ৩৫০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। তবে বিশ্লেষকদের আশংকা, নিহতের সংখ্যা এর চেয়েও অনেক বেশি।

 

Comments

The Daily Star  | English

Jubo Dal leader dies in custody after 'jt forces picked him up'

The body of Touhidul Islam, 42, bore marks of trauma and injuries from his waist to the knees, family members said, alleging that he was tortured to death

1h ago