৫ দিন পর বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলা, হিজবুল্লাহর অস্ত্রাগার ধ্বংসের দাবি
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হিজবুল্লাহর একটি ভূগর্ভস্থ অস্ত্রাগার ধ্বংসের লক্ষ্যে বিমান হামলা চালিয়েছে।
আজ বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল ও আল জাজিরা।
বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলের দাহিয়েহ শহরতলীতে এই হামলা চালায় তারা।
আজ আইডিএফ জানিয়েছে, কয়েকদিন বিরতির পর আবারও লেবাননের রাজধানীতে হামলা চালিয়েছে তারা।
এক বিবৃতিতে আইডিএফ জানায়, ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর যুদ্ধ বিমান গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হিজবুল্লাহর অস্ত্র সংরক্ষণের গুদামে বোমা হামলা চালিয়েছে। এই গুদামটি দাহিয়েহ এলাকার একটি ভবনের নিচে অবস্থিত।
সেনাবাহিনী আরও দাবি করে, তারা বেসামরিক ব্যক্তিদের সুরক্ষিত রাখার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েই এই হামলা চালায়। এই ব্যবস্থার মধ্যে ছিল এলাকাবাসীদের নিরাপদে চলে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া।
সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া পোস্টে ইসরায়েল জানায় তারা 'ভূগর্ভস্থ গুদামে সংরক্ষিত অস্ত্র ধ্বংস করার জন্য' এই হামলা চালায়।
প্রাথমিকভাবে কোনো হতাহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি।
২৩ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে সর্বাত্মক হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
তবে আল জাজিরার সাংবাদিক ইমরান খান ইসরায়েলের দাবির সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেন।
তিনি বলেন, 'আজ স্থানীয় সময় সকাল ৬টা বেজে ৫০ মিনিটে এই হামলা শুরু হয়। আমরা জানতে পেরেছি, দাহিয়েহ এলাকায় তিন দফা বিমান হামলা হয়।'
ইমরান বলেন, 'আমরা জানি না কোন ভবনটিকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছিল, তবে ইসরায়েলের দাবি, সে ভবনের নিচে হিজবুল্লাহর অস্ত্র রাখার গুদাম ছিল। কিন্তু আসলেই যদি সেখানে অস্ত্র সংরক্ষণাগার থাকতো তাহলে যে পরিমাণ ধ্বংসযজ্ঞ আর কালো ধোঁয়া দেখা যেত, তা আমরা দেখছি না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে না, সেখানে কোনো অস্ত্র রাখা ছিল।
'অস্ত্রাগারে হামলা করা হলে সেখানে জমা রাখা অস্ত্রগুলোও বিস্ফোরিত হয় এবং সে ক্ষেত্রে ধ্বংসের মাত্রা আরও অনেক বেশি থাকে', যোগ করেন তিনি।
লেবাননের রাজধানীর পরিস্থিতি খানিকটা শান্ত হয়ে এসেছিল। গত পাঁচ দিন সেখানে হামলা হয়নি। কিন্তু আবারও ইসরায়েল দক্ষিণ শহরতলীতে বড় আকারে হামলা চালিয়ে পরিস্থিতিতে উত্তপ্ত করে তুলেছে বলে মন্তব্য করেন এই সাংবাদিক।
Comments