হিজবুল্লাহর ৮০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস: ইসরায়েল

অজ্ঞাত অবস্থান থেকে ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে হিজবুল্লাহর। ছবি: সংগৃহীত
অজ্ঞাত অবস্থান থেকে ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে হিজবুল্লাহর। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট দাবি করেছেন, হিজবুল্লাহর মোট ক্ষেপণাস্ত্র মজুদের মাত্র ২০ শতাংশ অবশিষ্ট আছে। বাকি ৮০ শতাংশই ধ্বংস হয়েছে। 

আজ বুধবার হিব্রু গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।

প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিয়ে তার সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের সঙ্গে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি বৈঠক করেন।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এই তথ্য উপস্থাপন করে মন্তব্য করেন, যুদ্ধের লক্ষ্য পূরণ হতে আর বেশি দেরি নেই। 

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট (বাঁয়ে)। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট (বাঁয়ে)। ফাইল ছবি: রয়টার্স

মঙ্গলবার ইসরায়েলের সাফেদ এলাকায় অবস্থিত আইডিএফের উত্তরাঞ্চলীয় সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শন করেন গ্যালান্ট।

সেখানে তিনি জানান, ইসরায়েল উত্তরাঞ্চলীয় যুদ্ধক্ষেত্রের (লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে) সবগুলো লক্ষ্য পূরণের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। তিনি মত দেন, এক বছর আগের তুলনায় হিজবুল্লাহর সামরিক সক্ষমতা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে।

তিনি বলেন, 'আমার হিসাব মতে, হিজবুল্লাহ এখন সাংগঠনিক অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চলছে। তাদের মিসাইল ও রকেটের মজুদের মাত্র ২০ শতাংশ বাকি আছে এবং আগের মতো বড় আকারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর সক্ষমতা হারিয়েছে সংগঠনটি।'

'ইরানে আমাদের হামলা ও হিজবুল্লাহর বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে', যোগ করেন গ্যালান্ট।

১ অক্টোবর ইসরায়েল ব্যাপক ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এর জবাবে শনিবার ইসরায়েল ইরানে সীমিত আকারে বিমান হামলা চালায়। এই হামলার সূত্রেই এ মন্তব্য করেন গ্যালান্ট।

অজ্ঞাত অবস্থান থেকে ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে হিজবুল্লাহর। ছবি: সংগৃহীত
অজ্ঞাত অবস্থান থেকে ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে হিজবুল্লাহর। ছবি: সংগৃহীত

গ্যালান্ট বলেন, 'ইরান বুঝতে পেরেছে, হিজবুল্লাহ এখন আর পাল্টা হামলা চালানোর অবস্থায় নেই। হিজবুল্লাহও বুঝতে পেরেছে, তারা এখন আর ইরানের ওপর নির্ভর করতে পারছে না।'

সেপ্টেম্বরে লেবাননের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সর্বাত্মক হামলা শুরুর আগে হিজবুল্লাহর হাতে প্রায় দেড় লাখ ক্ষেপণাস্ত্র ছিল বলে ধারণা করা হয়। যার অর্থ, এখনো হাজারো ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে তাদের হাতে।

Comments