৮ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ

‘প্রত্যাশিত’ বৃষ্টি নেই, কুয়াশা কমলেও ঠান্ডা থাকছে

ঠান্ডাজনিত রোগে ৬৪ দিনে ৬২ জনের মৃত্যু
‘প্রত্যাশিত’ বৃষ্টি নেই, কুয়াশা কমলেও ঠান্ডা থাকছে
চুয়াডাঙ্গা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি | ছবি: জহির রায়হান সোহাগ/স্টার

রংপুর বিভাগ এবং কিশোরগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ঘন কুয়াশার কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঠান্ডা পরিস্থিতি অব্যাহত রয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে দিনাজপুরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আট ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এছাড়া নিকলীতে আট দশমিক সাত ডিগ্রি, বদলগাছীতে নয় দশমিক পাঁচ, রংপুরে নয় দশমিক নয়, সৈয়দপুরে নয়, তেঁতুলিয়ায় আট দশমিক সাত, ডিমলায় আট দশমিক দুই ও রাজারহাটে নয় ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা আরও কমেছে। এদিন সকালে ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। 

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আকাশে মেঘ থাকায় দিনের তাপমাত্রা বাড়েনি। আজ রাতের তাপমাত্রাও সামান্য কমতে পারে। তবে আগামীকাল দিনের তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা আছে।'

এদিন সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় ১৯ মিলিমিটার, যশোরে ১৬ মিলিমিটার, রাজশাহীতে দুই ও গোপালগঞ্জে এক মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বজলুর রশিদ বলেন, 'আমরা যে রকম প্রত্যাশা করেছিলাম সে রকম বৃষ্টি হচ্ছে না। দেশের উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টি নেই, দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। কুয়াশা পুরোপুরি কাটছে না, থেকেই যাবে।'

পূর্বাভাস অনুসারে, বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িক বিঘ্ন হতে পারে।

দেশের উত্তর-উত্তরপূর্বাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে। অন্য এলাকায় প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে, বলা হয় পূর্বাভাসে।

আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সূর্য দেখা গেছে। কোথাও কোথাও রোদ উঠেছে। কুয়াশা পুরোপুরি না কাটলেও অনেকটাই কমবে।'

যেসব এলাকায় বৃষ্টি হবে না, সেসব এলাকায় ঠান্ডা বাড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও জানান তিনি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুসারে, গত ১৫ নভেম্বর থেকে গতকাল পর্যন্ত ৬৪ দিনে ৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে মারা গেছেন ৫৯ জন এবং ডায়রিয়ায় মারা গেছেন তিন জন।

ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ছয়জন, ময়মনসিংহে তিনজন, চট্টগ্রামে ৩০ জন, রাজশাহীতে একজন, রংপুরে চারজন, বরিশালে একজন ও সিলেট বিভাগে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

Comments