উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের ব্যবধান প্রায় ১০ ডিগ্রি, মাসের শেষে বৃষ্টির সম্ভাবনা

উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের ব্যবধান প্রায় ১০ ডিগ্রি, মাসের শেষে বৃষ্টির সম্ভাবনা
স্টার ফাইল ফটো | ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অধিকাংশ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে চলে গেছে। সবচেয়ে বেশি ছিল বরিশালে ১৯ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস।

উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা সে তুলনায় অনেক কম। আজ শনিবার সকালে তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আট দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

পূর্বাভাস অনুসারে, দিনগত রাতের তাপমাত্রা অন্তত এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে।

দিনাজপুরে এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস, নীলফামারীর ডিমলায় ১০ দশমিক আট, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১০ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, রাতের তাপমাত্রা দুই সেলসিয়াস কমে গেলে বিক্ষিপ্তভাবে আরও কয়েকটি জেলা শৈত্যপ্রবাহের আওতায় চলে আসতে পারে।

সেই সঙ্গে শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন এবং অন্যান্য জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘন কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সাময়িকভাবে বিঘ্ন হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘ মেয়াদি পূর্বাভাস অনুসারে, চলতি মাসের প্রথমার্ধে দেশের উত্তর, পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি বা দুটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে এবং মাসের শেষের দিকে একদিন বা দুদিন বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।

আবহাওয়া পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, জানুয়ারি মাসে সার্বিকভাবে সারা দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ১৫ দশমিক আট শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। তবে লঘুচাপ ও পূবালী বায়ুর কারণে খুলনা বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে।

জানুয়ারিতে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকলেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিক ছিল। এছাড়া গড় তাপমাত্রা এক ডিগ্রি সেলসিয়াস কম ছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৮ জানুয়ারি তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

2h ago