তাপমাত্রা কমে আসার পাশাপাশি দু-এক দিনের মধ্যে বাড়তে পারে বৃষ্টির প্রবণতা

আবহাওয়া অধিদপ্তর, আবহাওয়া, বৃষ্টি, তাপমাত্রা,
স্টার ফাইল ছবি

বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় সারাদেশে তাপমাত্রা কমে আসার পাশাপাশি বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় দেওয়া বার্তায় অধিদপ্তর বলেছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে।

এদিন সন্ধ্যায় ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা খুলনা বিভাগ, পঞ্চগড়, রংপুর, নীলফামারী, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলা এবং রাজশাহী বিভাগের অন্যান্য জায়গায় অব্যাহত থাকতে পারে।

চুয়াডাঙ্গা ও ঈশ্বরদীতে বুধবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গত কয়েকদিন ধরে অসহনীয় গরমে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সারাদেশের মানুষ।

প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোকে ব্রয়লার মুরগি মারা যেতে শুরু করায় পোল্ট্রি খামারিরাও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের খামারি শাহিনুর রহমান জানান, তিনি ১ হাজার ব্রয়লার পালন করছেন। গত ৪ দিনে হিটস্ট্রোকে তার অন্তত ৩০টি মুরগি মারা গেছে।

উপজেলার হরিশ্বর কালোয়া গ্রামের পোল্ট্রি খামারি মেহেদী হাসানের ভাষ্য, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে বৈদ্যুতিক পাখা অকেজো হয়ে পড়ায় তার মুরগির চালার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

এদিকে বাংলাদেশের পাশাপাশি এশিয়া মহাদেশের বড় অংশজুড়েও বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এতে দেশে দেশে মৃত্যু বাড়ছে। প্রচণ্ড গরমের কারণে ভারতে বন্ধ করতে হচ্ছে স্কুল। এশিয়ার আরেক বড় দেশ চীনেও তাপমাত্রা রেকর্ড ভাঙছে।

দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ও আবহাওয়া ইতিহাসবিদ ম্যাক্সিমিলিয়ানো হেরেরা এশিয়াজুড়ে দেখা দেওয়া এমন অস্বাভাবিক তাপমাত্রাকে 'এখানকার ইতিহাসে এপ্রিলের সবচেয়ে খারাপ তাপপ্রবাহ'হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

Comments

The Daily Star  | English
Protests disrupt city life in Dhaka

Protests disrupt city life, again

Protests blocking major thoroughfares in Karwan Bazar and Shahbagh left the capital largely paralysed

1h ago