বুধ-বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের সম্ভাবনা

প্রতীকী ছবি

চলতি সপ্তাহের শেষে আগামী বুধবার বা বৃহস্পতিবার দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ তৈরির সম্ভাবনা আছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক রোববার রাতে দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, 'দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে বুধ-বৃহস্পতিবার লঘুচাপ তৈরি হতে পারে। এরপর এটা ঘনীভূত হলে ডিপ্রেশন তৈরি হবে। এখনই বলা যাচ্ছে না যে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কি না।'

লঘুচাপ থেকে বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পেয়ে এটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ ও পরে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে জানান তিনি। 

'আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে এ লঘুচাপ তৈরি হতে পারে। এরপর এটা যেকোনো দিকেই অগ্রসর হতে পারে। এটাকে অ্যাভোয়েড করার সুযোগ নেই, আবার এখনই এত গুরুত্ব দেওয়ার সময় হয়নি,' বলেন এই আবহাওয়াবিদ।

  

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত আছে।

সোমবার ও মঙ্গলবার রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

এছাড়া, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

নদীবন্দরের পূর্বাভাস

রোববার থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত রংপুর, দিনাজপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। 

এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া, রাজশাহী, ঢাকা ও কুমিল্লা অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। 

এসব এলাকার নদীবন্দরকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

9h ago