সাগরের তলদেশ দিয়ে ক্রুড অয়েল পাইপলাইনের কমিশনিং সফল

সাগরের তলদেশের পাইপলাইন দিয়ে ডিজেল পরিবহন
সাগরে অবস্থিত এসপিএম প্রকল্পের মুরিং। সাগরের তলদেশে স্থাপিত জ্বালানি তেলের পাইপলাইন দুটি এই মুরিংয়ের সঙ্গে যুক্ত। ছবি: সংগৃহীত

মহেশখালীর ট্যাংক টার্মিনাল থেকে ইস্টার্ন রিফাইনারিতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল (ক্রুড অয়েল) পরিবহন সফলভাবে শেষ হয়েছে। 

এর মধ্য দিয়ে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপলাইন প্রকল্পের দ্বিতীয় পাইপলাইনটির কমিশনিং শেষ হলো। 

আজ শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় মহেশখালী থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল পাম্প করা বন্ধ হয়।

সাগরের তলদেশে নতুন স্থাপিত পাইপলাইন দিয়ে এবার ৪০ হাজার মেট্রিক টন ক্রুড অয়েল পরিবহন শেষ হলো।

এ বিষয়ে এসপিএম পাইপলাইন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শরীফ হাসনাত দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত ৯ মার্চ সকাল ৮টা থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল পাম্প শুরু হয়েছিল মহেশখালী প্রান্ত থেকে। আজ শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় তেল পাম্প করা বন্ধ হয়।'

তিনি বলেন, 'প্রথমবারের মতো হওয়ায় পাইপলাইনে প্রেসার কম দিয়ে তেল পরিবহন করা হয়েছে। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার কারণে তেল পরিবহনে প্রায় ৬ দিন সময় লাগল। এসপিএর দ্বিতীয় পাইপলাইনটির কমিশনিংও সফলভাবে সম্পন্ন হলো।'

আগামীতে ১ লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল পরিবহনে মাত্র ৫ দিন সময় লাগবে বলে জানান তিনি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এসপিএম প্রকল্পটি প্রায় ১১০ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি পাইপলাইনের। সাগর থেকে মহেশখালী ট্যাংক টার্মিনাল পর্যন্ত ৩৬ ইঞ্চি ব্যাসের ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে। 

আর মহেশখালী থেকে ইস্টার্ন রিফাইনারি অংশে সাগরের তলদেশে স্থাপন করা হয়েছে ৯৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দুটি পাইপলাইন। এই পাইপলাইনগুলো ১৮ ইঞ্চি ব্যাসের। 

এই ৯৪ কিলোমিটার পাইপলাইনে প্রায় ১২ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি তেল সবসময় থেকে যাবে।

এই দুই পাইপলাইনের একটিতে ডিজেল এবং অপরটিতে ক্রুড অয়েল পরিবহন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

উল্লেখ্য, এই প্রকল্প নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার ১২৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিপিসি, বাংলাদেশ সরকার এবং চীনা এক্সিম ব্যাংক অর্থায়ন করেছে। 

আগে বঙ্গোপসাগরের বহির্নোঙ্গরে জাহাজ থেকে তেল আনলোড-লোড করে রিফাইনারি পর্যন্ত তেল পৌঁছাতে ৭-১০ দিন পর্যন্ত লেগে যেত।

প্রকল্পের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হলে লাইটার জাহাজের মাধ্যমে জ্বালানি তেল পরিবহন কমে যাবে এবং এতে করে প্রতিবছর সরকারের প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে জানান সংশ্লিষ্টরা।

Comments

The Daily Star  | English

BB to adopt more flexible exchange rate to meet IMF conditions

After a months-long stalemate, the Bangladesh Bank (BB) is finally set to adopt a more flexible exchange rate regime to fulfil conditions tied to a $4.7 billion International Monetary Fund (IMF) loan programme, which will likely enable Bangladesh to receive $1.3 billion in the fourth and fifth tranches.

8h ago