সাগরতলের পাইপলাইন দিয়ে ২৮ ঘণ্টায় ক্রুড অয়েল পৌঁছাল ইস্টার্ন রিফাইনারিতে

মহেশখালীর স্টোরেজ ট্যাংক টার্মিনাল। ছবি: সংগৃহীত

মহেশখালীর ট্যাংক টার্মিনাল থেকে সাগরতলের পাইপলাইন দিয়ে ২৮ ঘণ্টায় ক্রুড অয়েল পৌঁছাল চট্টগ্রামের পতেঙ্গার ইস্টার্ন রিফাইনারিতে।

গতকাল শনিবার সকাল ৮টায় মহেশখালী সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) থেকে ক্রুড অয়েল পাম্প করা শুরু হয় এবং আজ রোববার দুপুর ১২টায় ইস্টার্ন রিফাইনারির ট্যাংকে তেল পৌঁছায়।

সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ লোকমান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এসপিএম উইথ ডাবল পাইপলাইন প্রকল্পের দ্বিতীয় পাইপলাইন দিয়ে এই অপরিশোধিত তেল (ক্রুড অয়েল) পরিবহন সফলভাবে চলছে বলে জানান তিনি।

ইস্টার্ন রিফাইনারি সূত্র জানায়, আগে বঙ্গোপসাগরের বহির্নোঙ্গরে জাহাজ থেকে তেল আনলোড-লোড করে রিফাইনারি পর্যন্ত তেল পৌঁছাতে ৭-১০ দিন পর্যন্ত লেগে যেত।

প্রকল্পের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হলে লাইটার জাহাজের মাধ্যমে জ্বালানি তেল পরিবহন কমে যাবে এবং এতে করে প্রতিবছর সরকারের প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে জানান সংশ্লিষ্টরা।

প্রথম ধাপে ২৮ ঘণ্টায় তেল পরিবহন সম্পন্ন হলেও, পর্যায়ক্রমে প্রেসার বাড়লে সময় কমে আসবে বলে জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

তিনি বলেন, 'এখন যে মাত্রায় পাম্প করা হচ্ছে তাতে প্রায় ৬০ হাজার মেট্রিক টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল পাম্প করতে ৪-৫ দিন লাগতে পারে।'  

কর্মকর্তারা জানান, এসপিএম পাইপলাইনের কমিশনিং করার জন্য গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে সৌদি আরব থেকে ৮২ হাজার মেট্রিক টন অ্যারাবিয়ান লাইট ক্রুড অয়েল আমদানি করা হয়। 

মহেশখালীর ট্যাংক টার্মিনালে বিভিন্ন অপারেশনাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সেই অপরিশোধিত জ্বালানি তেল পাইপলাইনের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে। 

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রকল্পটি প্রায় ১১০ কিলোমিটার দীর্ঘ (দুটি পাইপলাইন)। মহেশখালী থেকে ইস্টার্ন রিফাইনারি অংশে সাগরের তলদেশে স্থাপন করা হয়েছে ৯৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ও ১৮ ইঞ্চি ব্যাসের দুটি পাইপলাইন।

এই ৯৪ কিলোমিটার পাইপলাইনে প্রায় ১২ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি তেল সবসময় থেকে যাবে।

এ প্রকল্প নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার ১২৪ কোটি টাকা। বিপিসি, বাংলাদেশ সরকার এবং চাইনিজ এক্সিম ব্যাংক এতে অর্থায়ন করেছে।

 

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

15h ago