‘সরকারের ইচ্ছায় আইন সংশোধন, আমরা আইন মেনে দায়িত্ব পালন করব’
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আইন সংশোধন করে দেওয়া অধ্যাদেশের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নয় সংস্থাটি।
সংস্থাটির চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বলেছেন, তারা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করে যাবেন।
এলপিজির দাম ঘোষণার ভার্চুয়াল আয়োজনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আবদুল জলিল বলেন, 'বিইআরসি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীনস্ত। এই সংক্রান্ত আইন করা থেকে শুরু করে পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন বা সংশোধনের এখতিয়ার তাদের রয়েছে। সরকারের ইচ্ছায় আইন সংশোধন করা হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে আমার কিছুই বলার নেই। সরকারের আইন সরকার সংশোধন করেছে, আমরা আইন অনুযায়ীই কাজ করব।'
গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণের এখতিয়ার ছিল বিইআরসির। দাম বাড়ানোর আবেদন পাওয়ার পর যাচাই-বাছাই ও গণশুনানির আয়োজন করে ৯০ দিনের মধ্যে দাম নির্ধারণ করতে পারত তারা। জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণের এখতিয়ারও বিইআরসির, কিন্তু এটি জ্বালানি বিভাগ নিজেই নির্ধারণ করত।
রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের পর সংশোধনে বিইআরসির পাশাপাশি 'বিশেষ সময়ে' সরকারও দাম নির্ধারণের ক্ষমতা পেয়েছে।
সরকার দাম নির্ধারণ করলে পরবর্তীতে বিইআরসি ওই দামের যৌক্তিকতা যাচাই করতে পারবে কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে আবদুল জলিল বলেন, 'সরকার আদেশ দিলে সরকারেরটাই পালন করা হবে।'
বিদ্যুতের পাইকারি দাম ঘোষণার পর খুচরা দাম বাড়ানোর আবেদনও বিইআরসিতে জমা পড়েছে। বিইআরসি খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ানোর গণশুনানি করবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বিইআরসির সদস্য (বিদ্যুৎ) মোহাম্মদ বজলুর রহমান বলেন, 'এ বিষয়ে সরকারের পরামর্শ নেওয়ার দরকার হবে।'
Comments