এক সপ্তাহ পর ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন স্বাভাবিক

ঘোড়াশাল
ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া নরসিংদীর পলাশের ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫ নম্বর ইউনিটসহ সব ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে।

ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম আজ সোমবার রাতে দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, ৫ নম্বর ইউনিটের যান্ত্রিক সমস্যা সমাধান করে সোমবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন চালু হয়েছে। এতে এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৭টি ইউনিট থেকে একসঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। 

যান্ত্রিক ত্রটির কারণে গত ১ সপ্তাহ ধরে ৫ নম্বর ইউনিট বন্ধ ছিল এবং এটি চালু হওয়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্রে ২১০ মেগাওয়াট যোগ হলো বলে জানান তিনি।

এর আগে গত ৪ অক্টোবর দুপুর ২টা ৫ মিনিটে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিলে হঠাৎ করে ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪ ও ৫ নম্বর ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়। 

পরে ১ ঘণ্টার মধ্যে ৩৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৪ নম্বর ইউনিট চালু করা গেলেও ২১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৫ নম্বর ইউনিট চালু করা যায়নি।

বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম জানান, ৫ নম্বর ইউনিটের সেফটি বাল্ব ফেটে যাওয়ায় ইউনিটটি এর আগে চালু করা সম্ভব হয়নি।

গত ৪ অক্টোবর দেশের জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় দেখা দিলে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের সব এলাকার বিদ্যুৎ একসঙ্গে চলে যায়। 

সংস্কার কাজ শেষে রাত ৯টা থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো একে একে পুরো সক্ষমতায় ফিরে আসতে থাকে।

পূর্বাঞ্চল গ্রিডে বিদ্যুৎ না থাকায় দেশের প্রায় ৬৫ শতাংশ মানুষকে প্রায় ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় থাকতে হয়। কোনো কোনো এলাকা এর চেয়েও বেশি সময় অন্ধকারে ছিল। 

এ বিপর্যয়ের কারণ জানতে পরদিন ৫ অক্টোবর নরসিংদীর ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে যান পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ৬ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি।

সেদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পিজিসিবির নির্বাহী পরিচালক ইয়াকুব এলাহী চৌধুরীর নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কন্ট্রোলরুম পরিদর্শন করেন। 

১৯৬৭ সালে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে প্রতিষ্ঠিত ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে গড়ে প্রতিদিন ১ হাজার ৩১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

15h ago