মেঘালয়ে অতিবৃষ্টি, সিলেট-সুনামগঞ্জে দ্রুত বাড়ছে সুরমা-কুশিয়ারার পানি

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে নদীর পানি বাড়ছে গতকাল থেকে। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের মেঘালয়ে অতিবৃষ্টির ফলে সিলেট ও সুনামগঞ্জে আবারও আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। 

গতকাল রোববার রাত থেকে দ্রুত বাড়তে থাকা ঢলের পানিতে সুরমা, কুশিয়ারা, সারি ও যাদুকাটা নদী আজ সোমবার বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মেঘালয় রাজ্যের মৌসিনরামে ৪৪৭ মিলিমিটার ও চেরাপুঞ্জিতে ৩১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

মৌসিনরাম বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার উত্তরে এবং চেরাপুঞ্জি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উজানে অবস্থিত হওয়ায় এসব এলাকার অতিবৃষ্টির পানি দ্রুতই সুনামগঞ্জ ও সিলেটে প্রবেশ করে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল সুরমা নদীর পানি। আজ ভোরে এ নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে দুপুর ৩টায় সিলেটের কানাইঘাট পয়েন্টে ৯৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে দুপুর ১২টার পর সিলেটের একটি পয়েন্টে কুশিয়ারা ও একটি পয়েন্টে সারি নদী বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।

বিকেল ৩টায় কুশিয়ারা নদী জকিগঞ্জের অমলসীদে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার উপরে ছিল যা আরও বেড়ে বিপৎসীমার ৮৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

একই সময়ে সারি নদী জৈন্তাপুর উপজেলার সারিঘাটে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সুরমা নদী সুনামগঞ্জ জেলায় দুপুর ১২টার সময় ছাতক পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার এবং সুনামগঞ্জ শহর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

একই সময়ে যাদুকাটা নদী সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের শক্তিয়ারখলা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

33m schoolchildren affected last year by climate crisis: Unicef

Children in Bangladesh were among the worst affected, with around 33 million facing multiple rounds of school closures

10m ago