কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাটের চরাঞ্চলে পানিবন্দী ৩০ হাজার মানুষ

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্র নদের বুকে পোড়ার চর এলাকায় পানিবন্দী কয়েকটি পরিবার নৌকয় চড়ে নিরাপদ স্থানে যাচ্ছে। বুধবার দুপুরের ছবি। ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, গঙ্গাধরসহ ২৬টি নদ-নদীর পানি  বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। এসব নদ-নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে যেকোনো সময় বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

নদ-নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ২ জেলায় প্রায় ৫০টি চরাঞ্চলে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এরমধ্যে কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের বুকে ৩৫টি চরে ২৫ হাজার এবং লালমনিরহাটে তিস্তার বুকে ১৫টি চরে ৫ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দী আজ বুধবার সকাল থেকে।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ এবং লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান আব্দুল গফুর আজ বিকেলে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার ইউনিয়নে ৮টি চরে প্রায় ৩ হাজার পরিবারের ১২ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন সকালে। অনেকে নৌকায় চড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যাচ্ছেন। এসব চরের অনেক ঘরে নদের পানি ঢুকে পড়েছে। আগামী ১-২ দিনে চরের সবগুলো ঘরের ভেতর পানি ঢুকে পড়তে পারে।'

যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ারচর এলাকার কৃষক আমিনুল ইসলাম জানান, তাদের ঘরে এখনও পানি ঢোকেনি। তবে যেকোনো সময় ঢুকে পড়তে পারে। আজ দুপুরে তাই তিনি পরিবারের লোকজনকে নৌকায় করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে গেছেন। ১-২ দিন পরে চরের সবাইকে বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদে যেতে হবে বলে পরিস্থিতি দেখে মনে করছেন তিনি।

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার চর গোবর্ধান এলাকার কৃষক নুর ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চরে প্রায় শতাধিক পরিবার সকাল থেকে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ঘরের ভেতর যেকোনো সময় তিস্তার পানি ঢুকে পড়তে পারে। নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।'

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন বলেন, 'নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বৃষ্টি আর উজানের পানিতে যেকোনো সময় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। নদ-নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনকবলিত স্থানগুলোতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।'

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ বলেন, 'নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও বেশ কয়েকটি চরে নদ-নদীর পানি ঢুকে পড়েছে। তবে এখনও বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় যেকোনো সময় বন্যা দেখা দিতে পারে।'

বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি আছে বলে তিনি জানান।

 

Comments

The Daily Star  | English

Economic expectations: Did govt fall short?

When an interim government was sworn into office following the ouster of the Awami League regime just 100 days ago, there was an air of expectation that the Prof Muhammad Yunus-led administration would take steps to salvage a scam-ridden financial sector and rescue an ailing economy.

8h ago