‘আর নিতে পারছি না’, মুরাদনগরের ঘটনায় তারকাদের তীব্র প্রতিবাদ

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার মুরাদনগরে নারীকে ধর্ষণ ও ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে দেশ। আপামর মানুষের পাশাপাশি এ ঘটনায় সরব তারকারাও।

দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে এ ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফাহমিদা নবী, আজমেরী হক বাঁধন, সুমাইয়া শিমু, তানজিকা আমিন ও মৌসুমী হামিদ।

ফাহমিদা নবী

আমি হতবাক! নারীদের সুন্দর জীবনের নিশ্চয়তা চাই। নারীদের নিরাপত্তা চাই। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও এমন ঘটনা ঘটছে। কিন্তু মুরাদনগরের ঘটনা আরও ভয়াবহ। এর বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে। অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। একজন নারী ও একজন মা হিসেবে এমন ঘটনা আমাকে কষ্ট দেয়। খারাপ লাগে। আমরা সমঅধিকারের কথা বলি। কিন্তু এর বাস্তবায়ন তো দেখি না। কতটা জঘন্য মানুষ হলে মুরাদনগরের এই কাজটি করতে পারে। সভ্যতার এই যুগে এসেও বর্বরদের কাজ দেখতে হচ্ছে।

আজমেরী হক বাঁধন

মুরাদনগরে একটি ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। এই ধরনের ঘটনা কিন্তু প্রায়ই ঘটছে। কোনো সরকারের আমলেই এই বিষয়ে জোরালোভাবে সোচ্চার হতে দেখিনি। তার মানে, রাষ্ট্র ব্যবস্থার কারণেই নারীরা অবহেলিত। যারা এসব ঘটনা ঘটায়, তারা কাজটি করে পার পেয়ে যায়। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় না। দরকার হচ্ছে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। শাস্তির আওতায় যখন অপররাধীরা আসে না, তখনই ওরা এসব ঘৃণ্য কাজ করতে উদ্বুব্ধ হয়। নারীদের ওরা পণ্য হিসেবে দেখে। যখন নারীকে পণ্য হিসেবে দেখবে, তখন তো অন্যায় করবেই। কাজেই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। তাহলেই ঘৃণ্য কাজ করার সাহস পাবে না।

সুমাইয়া শিমু

নারী হিসেবে নয়, একজন মানুষ হিসেবে মুরাদনগরের ঘটনা আমাকে কষ্ট দিচ্ছে। ভীষণ কষ্ট পাচ্ছি। আর নারী হিসেবে এমন ঘটনায় আমি বিব্রত। মানুষ হয়ে কী করে পারল এই কাজ করতে? তার ঘরে কি মা-বোন নেই? সেও তো কোনো না কোনো মায়ের সন্তান। একটিবারও কি তার মা-বোনের কথা মনে পড়ল না? আমি মনে করি, এরা মানুষ নয়, পিশাচ। পিশাচ না হলে কেউ এত জঘন্য কাজ করতে পারে না। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, এতবড় অপরাধ যারা করে, তাদের কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার। পাঁচ-দশটা ঘটনার কঠিন বিচার হলেই সমাজের এসব নরপশুরা ভয় পাবে, তখন এমন কাজে জড়াবে না। এই বর্বরতার শেষ হোক। অপরাধীরা শাস্তির আওতায় আসুক।

তানজিকা আমিন

কোনোভাবেই এমন ঘটনা মেনে নিতে পারছি না। মেনে নেওয়ার মতো ঘটনা এটি নয়। কষ্ট হচ্ছে খুব। খারাপও লাগছে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের দ্রুত বিচারের মাধ্যমে শাস্তি দিতে হবে। কয়েক মাস পর বিচার হবে, কিংবা বিচারের নামে দিনের পর দিন ভুক্তভোগী ঘুরবেন—তা যেন না হয়। এমন অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। আমি অবাক হয়ে গেছি, কীভাবে মানুষ এই ভিডিও সামাজিক যোগাযেগমাধ্যমে ছেড়ে দিলেন। ওদেরও বিচার হোক।

মৌসুমী হামিদ

মানুষ এখন আর মানুষ নাই, অমানুষ হয়ে যাচ্ছে। কীভাবে সম্ভব? এমন খবরও শুনতে হলো? স্বৈরাচারের চেয়েও ধর্ষণকারী খারাপ। সত্যি কথা বলতে আর নিতে পারছি না। নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে এসব খবরে। মেনে নেওয়ার মতো নয়। দেশে একজন সত্যিকারের ভালো লিডার দরকার। লিডার শুধু দেশ চালাবেন না, নৈতিকতাও শেখাবেন। যারা ভিডিও করে ছেড়ে দিয়েছে ফেসবুকে, তাদেরও ফাঁসি হোক। ধষর্ণকারীর তো হতেই হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে বিচার দেখতে চাই। শাস্তি না হলে ওরা ভয় পাবে না। মাঝেমধ্যে ভাবি, কেন রাস্তায় নেমেছিলাম? দম বন্ধ হয়ে আসছে। সবকিছু ঠিক হবে যদি অপরাধীর বিচার হয়। এমন ভয়াবহ অপরাধের জন্য ফাঁসি হোক।

Comments

The Daily Star  | English

Audits expose hidden bad loans at 6 Islamic banks

Asset quality reviews by international auditors KPMG and Ernst & Young have revealed that six Shariah-based banks in Bangladesh are in a dire financial state, with non-performing loans (NPLs) skyrocketing four times greater than previously reported.

3h ago