ডিএসইতে দেড় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন
তিন দিনের বিরতির পর আজ বুধবার বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে। কিন্তু সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) টার্নওভার এক বছর পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে।
দেশব্যাপী ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় এ সপ্তাহের তিন কার্যদিবস শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ ছিল।
আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯৫ পয়েন্ট বা এক দশমিক ৭৫ শতাংশ কমে পাঁচ হাজার ৩৫০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ২১ পয়েন্ট বা এক দশমিক ৮৩ শতাংশ কমে এক হাজার ১৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ ৩৭ পয়েন্ট বা এক দশমিক ৯১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯০৮ পয়েন্টে।
আজ সকাল ১১টায় পুঁজিবাজার চালু হয় এবং দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে বন্ধ হয়।
এদিন প্রায় ১৫৯ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা ২০২৩ সালের ৩ জানুয়ারির পর সর্বনিম্ন।
আজ লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩টির, কমেছে ৩৫২টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪টির।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই প্রবণতা দেখা গেছে।
সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৪৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৩ শতাংশ।
পুঁজিবাজারের এক ব্রোকার বলেন, মোবাইল ইন্টারনেট না থাকায় বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শেয়ার লেনদেন মনিটরিং করতে পারেননি। তাই আজ বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কম ছিল।
দেশব্যাপী ইন্টারনেট চালু হলে শেয়ারবাজারে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
Comments