অর্থবছরের ৬ মাসে সরকারের ঋণের সুদ ব্যয় বেড়েছে ২৬ শতাংশ

খেলাপি ঋণ, ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংক,
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, স্থানীয় ও বিদেশি উভয় ঋণের সুদ বৃদ্ধি পাওয়ায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে সরকারের ঋণের সুদ পরিশোধের ব্যয় আগের বছরের চেয়ে প্রায় ২৬ শতাংশ বেড়েছে।

অর্থ বিভাগের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ঋণের সুদ বাবদ সরকারের ব্যয় হয়েছে ৫০ হাজার ২২৩ কোটি টাকা, যা আগের বছর ছিল ৩৯ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা।

এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ব্যয় ১৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেড়ে ৪২ হাজার ৩১৩ কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের সুদ ১৯৫ দশমিক ৮১ শতাংশ বেড়ে ৭ হাজার ৯১০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

একদিকে প্রত্যাশার চেয়ে কম রাজস্ব আদায়ের মধ্যে গত এক বছরে ট্রেজারি বিলের সুদ বেড়েছে, এ কারণে সরকারের নেওয়া ঋণের সুদও বেড়েছে।

আরেকদিকে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্বজুড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো বেঞ্চমার্ক ঋণের হার বাড়িয়েছে। ফলে, বিদেশি ঋণের সুদ হার বেড়েছে, তাই দেশের বাইরে থেকে নেওয়া সরকারের ঋণের সুদ ব্যয়ও বেড়েছে।

এদিকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সুদ পরিশোধে ৯৪ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে বাজেটের ৫৩ দশমিক ২ শতাংশ ব্যয় হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চলতি বাজেটে ঋণের সুদ পরিশোধ এক লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

সরকারের ভর্তুকি ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকা, যা বরাদ্দ করা ৮৪ হাজার ২ কোটি টাকার ১৯ শতাংশ।

ব্যাংক খাত থেকে সরকার মূলত ৯১ দিনের ট্রেজারি বিলের মাধ্যমে ঋণ নিয়ে থাকে।

গত ২৫ মার্চ ৯১ দিনের ট্রেজারি বিলের সুদ ছিল ১১.২৪-১১.৩৫ শতাংশ, যা এক বছর আগে ছিল ৬.৩০-৬.৫০ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, একই সময়ে ১৮২ দিনের ট্রেজারি বিলের সুদ ৭.০৪-৭.১০ শতাংশ থেকে বেড়ে ১১.২৮-১১.৪০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ট্রেজারি বিলের মাধ্যমে ৭৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৩৪ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা ঋণ ৯১ দিনের ট্রেজারি বিলের মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে অর্থ বিভাগ।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অপর এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, একই প্রান্তিকে ট্রেজারি বিলের সুদ ব্যয় বছরে ১৫৯ শতাংশ বেড়েছে এবং ট্রেজারি বন্ডের সুদ ব্যয় ২৪ শতাংশ বেড়েছে।

যদিও এখনো দ্বিতীয় প্রান্তিকের পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। তবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অক্টোবর-ডিসেম্বরেও একই প্রবণতা দেখা গেছে।

(সংক্ষেপিত: পুরো প্রতিবেদন পড়ুন এই লিংকে Govt's interest expenses jump 26% in 6 months as funds get costlier)

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh, Japan for concluding EPA soon to boost economic, trade ties

Japanese PM Ishiba described Bangladesh as a long-standing friend and said that Japan would stand by Bangladesh in its endeavour for a democratic transition

2h ago