সাভারে ন্যাশনাল ব্যাংকের ভেতর গ্রাহকদের বিক্ষোভ

আজ দুপুরে ব্যাংকের ভেতরে গ্রাহকরা এই বিক্ষোভ করেন। ছবি: স্টার

ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের সাভার শাখায় চাহিদা অনুযায়ী টাকা তুলতে না পেরে বিক্ষোভ করেছেন গ্রাহকরা।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্যাংকের ভেতরে তারা এই বিক্ষোভ করেন।

দুপুর ১২টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, অন্তত ৫০ জন গ্রাহক চেক হাতে ব্যাংকের ভেতর বিক্ষোভ করছেন। ব্যাংকের গেটে পুলিশ ছিল। এক পর্যায়ে গ্রাহকরা স্টাফদের ভেতরে রেখে ব্যাংকের গেটে তালা দিয়ে দেন। পরে পুলিশ ও স্টাফরা গ্রাহকদের বোঝালে তারা তালা খুলে দেন।

গ্রাহকরা জানান, গত কয়েক দিন ধরে ব্যাংক থেকে পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হলেও আজ বলা হচ্ছে কোনো টাকা নেই। সেজন্য তারা বিক্ষোভ করছেন।

ফরিদা ইয়াসমিন নামে এক গ্রাহক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চিকিৎসার জন্য পাঁচ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছি। চার লাখ টাকা হাতে পেলেও বাকি এক লাখ টাকা তুলতে পারছি না। টাকা তোলার জন্য গত নয় দিন ধরে ব্যাংকে ঘুরছি। কিন্তু ব্যাংক থেকে টাকা দিচ্ছে না।'

জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বর থেকে আর্থিক সংকটে পড়ে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড। সেই কারণে ব্যাংকটির বিভিন্ন শাখায় গ্রাহকদের চাহিদার তুলনায় কম অর্থ পরিশোধ করা হচ্ছিল।

জানতে চাইলে ব্যাংকটির সাভার শাখার ম্যানেজার হাসিনুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, নিজেদের বেতনের টাকা কম করে তুলে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণের চেষ্টা করেছি আমরা। আমরা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা খুব কষ্ট ও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন পার করছি। গ্রাহকদের আমানত রক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাংকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। তা ছাড়া, এই মুহূর্তে আর কোনো উপায় নেই।

তিনি জানান, গত ৭ সেপ্টেম্বর তার শাখায় ভল্টের সীমার চেয়েও দুই কোটি টাকা বেশি ছিল। পরে সেই টাকা দিলকুশা শাখায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ৮ সেপ্টেম্বর থেকে সংকটের ব্যাপারটি তিনি বুঝতে পারেন।

'বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ১২ থেকে ১৪টি ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাবে। সেই বিবৃতির প্রভাব আমাদের ব্যাংকের ওপর পড়ছে। কারণ ওই বিবৃতির পর থেকে গ্রাহকরা ব্যাংকে লেনদেন করছেন না। আমানতকারীরা ডিপিএসের টাকা জমা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। গ্রাহকরা শুধু টাকা তুলছেন। সেই কারণে আর্থিক সংকট তৈরি হয়েছে', বলেন তিনি।

ব্যাংকের শাখাগুলোয় লেনদেন না হলে প্রধান শাখায় তহবিল সংকট দেখা দেবে বলে উল্লেখ করেন হাসিনুর রহমান।

গ্রাহকদের ৫-১০ হাজার টাকা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে গ্রাহকদের পাঁচ থেকে ১০ হাজার বা কাউকে আরেকটু বেশি পরিমাণ টাকাও দিয়েছি। কিন্তু আজকে প্রধান শাখা থেকে টাকা আসতে দেরি করায় ঝামেলা তৈরি হয়। পরে টাকা আসার পর যারা ছিলেন ব্যাংকে, তাদের দেওয়া হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Police struggle as key top posts lie vacant

Police are grappling with operational challenges as more than 400 key posts have remained vacant over the past 10 months, impairing the force’s ability to combat crime. 

9h ago