এবারের প্রশাসনে হ্যালি-পম্পেওকে রাখছেন না ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন মাইক পম্পেও। নিকি হ্যালি ছিলেন জাতিসংঘে মার্কিন দূত। তবে এবার দ্বিতীয় মেয়াদের প্রশাসনে এই দুইজনকে জায়গা দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্পের দেওয়া বার্তার বরাত দিয়ে আজ রোববার এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
বার্তায় ট্রাম্প লিখেন, 'সাবেক রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে ট্রাম্প প্রশাসনে আমন্ত্রণ জানানো হবে না। আগের দফায় তাদের সঙ্গে কাজ করে ভালো লেগেছে। দেশকে তারা যেভাবে সেবা দিয়েছেন, সেজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।'
আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। বর্তমানে নতুন প্রশাসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন তিনি।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত হ্যালি ২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত নর্থ ক্যারোলাইনার গভর্নর ছিলেন। ২০১৭ সালে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর তিনি জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত হন। এবারের নির্বাচনের আগে তিনি রিপাবলিকান প্রার্থিতার জন্যও লড়েছেন। রিপাবলিকান প্রাইমারিতে ট্রাম্পের পর সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছিলেন তিনিই।
তবে প্রার্থিতা থেকে নাম প্রত্যাহার করার পর ট্রাম্পকেই সমর্থন দিয়েছেন হ্যালি। বক্তৃতা দিয়েছেন রিপাবলিকানদের জাতীয় কনভেনশনেও।
পম্পেও ট্রাম্পের অধীনে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। গত জুলাইয়ে ইউক্রেনে মার্কিন সামরিক সহায়তা বাড়াবে এমন একটি পরিকল্পনার রূপরেখা দিয়েছিলেন তিনি।
এদিকে নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প বার বার বলেছেন, দায়িত্ব পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে দেবেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে মতাদর্শের বিরোধের জন্যই পম্পেওকে এবারের প্রশাসনে রাখছেন না ট্রাম্প।
Comments