ডজনে ডিমের দাম বেড়েছে ১৫ টাকা
খুচরা বাজারে ডিমের দাম প্রতি ডজনে ১৫ টাকা বেড়েছে। ফলে, চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ আরও বাড়ছে।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় খুচরা বিক্রেতারা আজ প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকায় বিক্রি করছেন, যা এক সপ্তাহ আগের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি।
মিরপুরের পল্লবী এলাকার খুচরা বিক্রেতা নুরুল আলম শিকদার বলেন, 'গত সাত দিন ধরে ডিমের দাম বাড়ছে। আমরা ফার্মের এক হালি ডিম (লাল) ৫৫ থেকে ৫৮ টাকায় বিক্রি করছি।'
তেজগাঁওয়ের ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আমানত উল্লাহ বলেন, সম্প্রতি প্রচণ্ড গরমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে লেয়ার মুরগি মারা গেছে। এছাড়া, গরমে মুরগিগুলো ঠিক মতো খেতেও পারেনি। ফলে ডিমের উৎপাদন কমে গেছে।
তিনি আরও বলেন, তেজগাঁও বাজারে প্রতিদিন ২০-২২ লাখ পিস ডিমের চাহিদা আছে। এর বিপরীতে এখন সর্বোচ্চ ১৪-১৫ লাখ পিস ডিম পাওয়া যাচ্ছে।
'মঙ্গলবার আমরা ১ হাজার ১৯০ টাকায় ১০০ পিস ডিম কিনেছি। পরের দিন একই পরিমাণ ডিমের দাম ছিল এক হাজার ২০০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল এক হাজার ৪০ টাকা,' বলেন তিনি।
প্যারাগন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান সম্প্রতি জানান, বৃষ্টির কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ডিম সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। এটি পুরো সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর প্রভাব ফেলেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজধানীর একজন ডিলার জানান, এ পরিস্থিতিকে পুঁজি করে কিছু ব্যবসায়ী বাজারে ডিমের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছেন। পর্যাপ্ত ডিম থাকলেও তারা সরবরাহ কম করছে। তাই দাম বাড়ছে।
বাংলাদেশ ডিম উৎপাদক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, দেশের চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার কোটি ডিমের প্রয়োজন হয়। আর ডিমের একটি বড় অংশ আসে সারা দেশের খামারগুলো থেকে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে দেশে ২ হাজার ৩৩৭ কোটি পিস ডিম উৎপাদিত হয়েছিল। তার আগের অর্থবছরে যা ছিল ২ হাজার ৩৩৫ কোটি পিস।
Comments