ব্রুনেইকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর

টিপু মুনশি
ঢাকায় ব্রুনেইয়ের অর্থ ও অর্থনীতি মন্ত্রী ড. আওয়াং হাজী মোহাম্মদ আমিন আবদুল্লাহর সঙ্গে বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ছবি: ইউএনবি থেকে নেওয়া

জ্বালানিসমৃদ্ধ ব্রুনেইকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় তার সদ্ব্যবহার করে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

আজ রোববার ঢাকায় ব্রুনেইয়ের অর্থ ও অর্থনীতি মন্ত্রী ড. আওয়াং হাজী মোহাম্মদ আমিন আবদুল্লাহর সঙ্গে বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।

টিপু মুনশি বলেন, 'বাংলাদেশ হতে পারে বিনিয়োগের উপযুক্ত জায়গা। আমার অনুরোধ থাকবে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার।'

বাণিজ্যমন্ত্রী ভারত ও চীনের কথা উল্লেখ করে জানান, এ দেশগুলো বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি গন্তব্য।

ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

বৈঠকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নিয়োগ ও বন্দর সুবিধা ব্যবহারের বিষয়ে আলোচনা হয়।

ব্রুনেইয়ের অর্থমন্ত্রী ড. আমিন বলেন, দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ আছে। পরিবহনের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক হাব তৈরির সুযোগগুলো অন্বেষণ করুন। আমরা এই মুহূর্তে আমাদের সমুদ্রবন্দর সম্প্রসারণ করছি।

বৈঠকে 'ব্রুনেই হালাল ফুডস ইন বাংলাদেশ' বিষয়ে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়।

প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ব্রুনেইয়ে বাংলাদেশিদের বিশেষ করে নির্মাণ শ্রমিকদের অবদানের কথা তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ ও ব্রুনেইয়ের অর্থনীতিতে ব্রুনেইয়ে কর্মরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের অবদানের প্রশংসা করে ব্রুনেইকে পেশাদার ও দক্ষ মানবসম্পদসহ প্রয়োজনীয় কর্মী সরবরাহের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতির কথা জানানো হয়।

বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিকরা 'পরিশ্রমী ও আন্তরিক' বলে প্রশংসা করেন ব্রুনেইয়ে সুলতান।

এর আগে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় প্রতিমন্ত্রী ব্রুনেইয়ের সুলতান হাজী হাসানাল বলকিয়াকে জানান যে বাংলাদেশ সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের (এফডিআই) জন্য প্রস্তুত। বাংলাদেশে ব্রুনেইয়ের বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

US tariff talks: First day ends without major decision

A high-level meeting between Bangladesh and the Office of the United States Trade Representative (USTR) ended in Washington, DC, yesterday without a major decision, despite the looming expiry of a 90-day negotiation window on July 9.

4h ago