ঢাবিতে পর্তুগিজ ভাষা শিক্ষা কোর্স
বাংলাদেশে পর্তুগিজ ভাষা শিক্ষা ও পর্তুগিজ ভাষা-সংস্কৃতির প্রসারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একাডেমিক সংযোগ স্থাপনে সহযোগিতা চুক্তি সই করেছে পর্তুগালের ক্যামোয়েস ইনস্টিটিউট অব কোঅপারেশন অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ।
চুক্তির আওতায় ক্যামোয়েস ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে (আইএমএল) পর্তুগিজ ভাষা শিক্ষা কোর্স চালু করা হবে।
পাশাপাশি, পর্তুগিজ ভাষার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বৃত্তি, সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ও বৈজ্ঞানিক গবেষণায় সহযোগিতা করা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও ক্যামোয়েসের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জোয়াও রিবেইরো ডি আলমেদা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
অনুষ্ঠানে লিসবনপ্রান্তে পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান, ক্যামোয়েস ইনস্টিটিউটের প্রোগ্রামিং, ট্রেনিং ও সার্টিফিকেশন বিভাগের প্রধান রুই ভিসেন্তে দে আজেভেদো ও বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব আব্দুল্লাহ আল রাজি এবং ঢাকাপ্রান্তে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. এ বি এম রাজাউল করিম ফকির ও বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব আশিক বিল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
ক্যামোয়েসের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জোয়াও রিবেইরো ডি আলমেদা চুক্তি সইয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আশা করছেন, উভয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে পর্তুগিজ ভাষা-সংস্কৃতির বিকাশ ও প্রসারে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।
একে সূচনা হিসেবে উল্লেখ করে তিনি জানান, তার প্রতিষ্ঠান এই চুক্তির অধীনে সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে পেতে সচেষ্ট থাকবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ পর্তুগিজ ভাষা শিক্ষায় শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তি সইয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, 'চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে উভয় প্রতিষ্ঠানই উপকৃত হবে।'
বর্তমানে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট ১৪টি ভাষার শিক্ষা কোর্স পরিচালনা করছে উল্লেখ করে তিনি আশা করেন, এই প্রটোকল চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে ক্যামোয়েস ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় শিগগির পর্তুগিজ ভাষা কোর্স চালু হবে।
রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান ২ দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক যোগসূত্রের কথা উল্লেখ করে বলেন, '১৬ শতাব্দী থেকে বাংলাদেশ ও পর্তুগালের মানুষের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে উভয় দেশকে এই সহযোগিতা চুক্তি কাজে লাগাতে হবে।'
তিনি আশ্বাস দেন লিসবন দূতাবাস চুক্তি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত থাকবে।
লেখক: পর্তুগালপ্রবাসী সাংবাদিক
Comments