আমরা ১২ ঘণ্টার মধ্যে অনেক কাজ করেছি: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী
সাধন চন্দ্র মজুমদার। ছবি: সংগৃহীত

ধান ও চালের অবৈধ মজুত বন্ধ করতে মাঠপর্যায়ে অভিযান শুরু করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ৮টি দল। অভিযানের অগ্রগতি প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, আমি মনে করি, আমরা ১২ ঘণ্টার মধ্যে অনেক কাজ করেছি।

আজ বুধবার দুপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

অবৈধ মজুতদার সিন্ডিকেটে আওয়ামী লীগের কেউ জড়িত কি না প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমি আগেই বলেছি মজুতদার-সন্ত্রাসী এরা কোনো দলের নয়। তারা কোনো দলের লেবাস নিয়েও যদি মজুত করে, ছাড় পাবে না এটা আমি পরিষ্কার করে বলে দিচ্ছি। আমি অন্তত মামলা করবো। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত নিয়ে কথা নয়, মজুতদার—মজুতদার। কোন দলের সেটা আমার দেখার দরকার নেই।

যারা ভোজ্য তেলের সিন্ডিকেট করেছে তারাই চালের সিন্ডিকেট করছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারা তেলের ব্যবসা করে জানি না। তবে কমন থাকতে পারে।

যেসব খাদ্যপণ্য দেশে উৎপাদন হচ্ছে সেগুলোর দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে, সেটা মনিটরিং হয় কি না প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মনিটরিং তো চলছে।

মনিটরিংয়ের মধ্যেই দাম বেড়ে গেছে, কোনো পণ্যের দাম ১০ টাকা বেড়ে গেলে পরবর্তীতে কমে হয়তো ২-৩ টাকা; এ বিষয়ে সাধন বলেন, চালের দাম বোধ হয় ১০ টাকা বাড়েনি। যেটা ১ নম্বর মিনিকেট বলে বিক্রি করে সেটাও এখনো মিল গেটে ৬০ টাকা। যেটা ৫৭ টাকা ছিল।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা যেটা প্রকিউরমেন্ট করি সেটা মোটা ধান। মোটা ধানের দাম কিন্তু বাড়েনি, মোটা চলের দামও বাড়েনি। ২৮, ২৯, সম্পা কাটারি, জিরা শাইল (নাজির শাইল) সেগুলোর দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বিপুল পরিমাণ চাল তুলে নিয়ে প্যাকেট করছে। প্যাকেট করতে ৩ টাকা লাগে, কাজেই চিকন চাল তারা প্রতিযোগিতায় কিনছে। তবু কৃষকরা বলে আমাদের লস হচ্ছে।

ফাঁদে আমরা পরিনি এখনো। আমাদের ফাঁদে ফেলতে চেষ্টা করছিল, আমরা রিকোভার করছি—বলেন তিনি।

অভিযানের পরে চালের দাম কমবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আশা করি কিন্তু যারা প্রতিযোগিতা করে ধান বেশি দামে কিনে ফেলেছে তারা টাইট করে থাকার চেষ্টা করবে। তাদের কিছু তো লস দিতেই হবে।

আমরা চিন্তা করছি, যারা প্যাকেট করে চাল বিক্রি করবে তারা দেশের বাজার থেকে কিনতে পারবে না এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় কি না। তারা ৬৭ শতাংশ কর দিয়ে চাল আমদানি করে প্যাকেট করবে। এটা আলোচনার মধ্যে আছে। নিজেদের মিল যাদের থাকবে তারা প্যাকেট করবে কিন্তু বাজার থেকে তুলে নিয়ে প্যাকেট করতে দেবো না আমরা। লাইসেন্সে মজুতের বিধানের বাইরেও যেতে পারবে না, বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Yunus gives election preparation deadline

Complete polls preparations by December: Yunus

Asks to review if those who served as polling officers in past three elections shall not be assigned the same roles again

1h ago