নাটোরে অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক: সন্দেহভাজনদের নমুনা সংগ্রহ

দেলুয়া গ্রাম পরিদর্শনে আইইডিসিআরের বিশেষজ্ঞ দল। ছবি: সংগৃহীত

নাটোরের লালপুরে অ্যানথ্রাক্স রোগ বিস্তার সন্দেহে আজ সোমবার দেলুয়া গ্রাম পরিদর্শন করেছে আইইডিসিআরের বিশেষজ্ঞ দল। অ্যানথ্রাক্স শনাক্তে সন্দেহভাজন রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করেছে দলটি।

নাটোরের সিভিল সার্জন ডা. রোজী আরা দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) ৬ জনের বিশেষজ্ঞ দলের নেতৃত্ব দেন ডা. রাবেয়া সুলতানা।

তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলে তথ্য নেওয়া হয়েছে। সন্দেহজনক আক্রান্তসহ আরও ২ জনের প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।'

'নমুনা পরীক্ষার পর চূড়ান্তভাবে বলা যাবে তারা অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত কি না,' বলেন তিনি।

সিভিল সার্জন ডা. রোজী আরা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিশেষজ্ঞ দলের প্রতিবেদন ও পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনগণকে সচেতন রাখার কাজ করে যাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ। পাশাপাশি আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবাও নিশ্চিত করা হচ্ছে।'

জানা গেছে, গত ৭ জুলাই লালপুরের দেলুয়া গ্রামে অসুস্থ গবাদিপশুর মাংস থেকে অন্তত ১০ জন অ্যানথ্রাক্স বা তড়কা জাতীয় রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। 

আক্রান্তদের দেখতে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক দল ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের দল উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নের দেলুয়া গ্রাম পরিদর্শন করার পর, বিষয়টি পর্যবেক্ষণে সোমবার ঢাকা থেকে আইইডিসিআরের বিশেষজ্ঞ দল সেখানে যায়।

নাটোরের জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ডিএলও) ডা. মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, বিশেষজ্ঞ দল প্রাণীর মাংসসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এগুলো ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার পর জীবাণু সম্পর্কে চূড়ান্তভাবে বলা যাবে। মঙ্গলবারও এই দল আক্রান্ত এলাকায় কাজ করবেন।

জানতে চাইলে নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্বাস্থ্যবিভাগ এবং প্রাণিসম্পদ বিভাগের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English

‘Shockingly insufficient’

"The proposed decision to allocate USD 250 billion per year for all developing countries is shockingly insufficient," said the adviser

2h ago