‘রাশিয়ার গ্যাস ছাড়া এবারের শীত মোকাবিলা করতে পারবে না জার্মানি’

জার্মান জ্বালানী নিয়ন্ত্রক সংস্থা বুন্দেসনেৎজাগেনতরের প্রেসিডেন্ট ক্লাউস মুয়েলার। ফাইল ছবি: রয়টার্স
জার্মান জ্বালানী নিয়ন্ত্রক সংস্থা বুন্দেসনেৎজাগেনতরের প্রেসিডেন্ট ক্লাউস মুয়েলার। ফাইল ছবি: রয়টার্স

জার্মানির বিদ্যুৎ ও গ্যাস নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান ক্লাউস মুয়েলার জানিয়েছেন, দেশটির গ্যাস সংরক্ষণাগারগুলোতে যথেষ্ট পরিমাণ গ্যাস নেই।

আজ রোববার মুয়েলারের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের বরাত দিয়ে রুশ রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা তাস জানিয়েছে, রাশিয়া থেকে শিগগির গ্যাসের সরবরাহ না আসলে আসন্ন শীত মৌসুমে দেশটি বিপাকে পড়বে।

'এ মুহূর্তে গ্যাসের ট্যাংকগুলোর ৬৫ শতাংশ পূর্ণ আছে। আগের সপ্তাহগুলোর তুলনায় পরিস্থিতি কিছুটা ভালো, তবে রাশিয়ার গ্যাস ছাড়া এবারের শীত মোকাবিলা করতে পারবে না জার্মানি', যোগ করেন মুয়েলার।

জার্মানির ভোক্তা অধিকার সংস্থার সাবেক নির্বাহী পরিচালক ক্লাউস মুয়েলার আরও জানান, গ্যাস সরবরাহের পাইপলাইন নর্ড স্ট্রিমের সংস্কার কার্যক্রম ২১ জুলাই শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

উল্লেখ্য, একটি টার্বাইন মেরামত ও অন্যান্য নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য নর্ড স্ট্রিম ১ পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ ১০ দিনের জন্য বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।

জার্মান জ্বালানী নিয়ন্ত্রক সংস্থা বুন্দেসনেৎজাগেনতরের প্রেসিডেন্ট মুয়েলার আরও বলেন, 'আগামী বৃহস্পতিবার সংস্কার কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর কখন, কীভাবে এবং কতটুকু গ্যাস রাশিয়া থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে আসবে, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে'

গ্যাস পাইপলাইন। প্রতিকী ছবি: এপি
গ্যাস পাইপলাইন। প্রতিকী ছবি: এপি

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বেশ কিছু দেশ ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে রাশিয়ার ওপর কয়েক দফায় বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে শুরু থেকেই গ্যাস প্রসঙ্গে জার্মানি কিছুটা আত্মরক্ষামূলক মনোভাব দেখিয়েছে।

শুধু জার্মানি নয়, সমগ্র ইউরোপ শীত মৌসুমে বাসস্থান গরম রাখার শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় ব্যবহৃত গ্যাসের জন্য রাশিয়ার ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। এ গ্যাসের একটি বড় অংশ আসে নর্ড স্ট্রিম ১ পাইপলাইনের মাধ্যমে।

গত বছর পুরো ইউরোপের গ্যাস চাহিদার ৪০ শতাংশ মিটিয়েছে রাশিয়া।

 

Comments

The Daily Star  | English

Bangladeshis worry amid US immigration crackdown

The United States has deported at least 31 Bangladeshis after President Donald Trump took a tough immigration policy.

6h ago