ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক চুল্লি থেকে নিয়মিত বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু

ফিনল্যান্ডের ওএল৩ পারমাণবিক চুল্লি। ছবি: রয়টার্স
ফিনল্যান্ডের ওএল৩ পারমাণবিক চুল্লি। ছবি: রয়টার্স

ফিনল্যান্ডের ওলকিলুওতো ৩ (ওএল৩) পারমাণবিক চুল্লিতে নিয়মিত বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। প্রায় ১৮ বছর আগে এই চুল্লি নির্মাণের কাজ শুরু হলেও তা এতদিন বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত ছিল না।

আজ রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্স চুল্লির পরিচালনা সংস্থা টিভিওর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপের সবচেয়ে বড় ও বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম এই চুল্লিতে আজ স্থানীয় সময় সকাল থেকে উৎপাদন শুরু হয়েছে।

ফিনল্যান্ডে রাশিয়া গ্যাস ও বিদ্যুতের সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার পর ওএল৩'র উৎপাদনের মাধ্যমে কিছুটা হলেও এ অঞ্চলে জ্বালানি নিরাপত্তা ফিরে এসেছে বলে মত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

ইউরোপে নিরাপত্তার কারণে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের বিষয়টি বিতর্কিত। একদিকে ওএল৩'র উৎপাদন শুরু হলো, আর অন্যদিকে জার্মানি গতকাল শনিবার তাদের সর্বশেষ ৩ চুল্লি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।

টিওল্লিসুদেন ভয়মা (টিভিও) জানিয়েছে, তারা ওএল৩'র মাধ্যমে ফিনল্যান্ডের বিদ্যুৎ চাহিদার ১৪ শতাংশ পূরণ করতে পারবে। ফলে সুইডেন ও নরওয়ে থেকে আমদানি নির্ভরতা কমে আসবে।

টিভিওর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই চুল্লি অন্তত ৬০ বছর কার্যকর থাকবে।

২০০৫ সালে ১ দশমিক ৬ গিগাওয়াটের এই চুল্লির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০০৯ সালে এটি চালুর কথা থাকলেও নানান কারিগরি সমস্যার কারণে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের আগে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা যায়নি।

২০২২ সালের মার্চে ওএল৩ প্রথমবারের মতো ফিনল্যান্ডের জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করতে সক্ষম হয়। এর ৪ মাস পর থেকে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরুর কথা থাকলেও আবারও কারিগরি সমস্যার কারণে তা পিছিয়ে যায়।

রাশিয়া গত বছরের মে মাসে ফিনল্যান্ডে গ্যাস ও বিদ্যুৎ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। রাশিয়ার পরিষেবা সংস্থা আরএও জানিয়েছে, ফিনল্যান্ড তাদের কাছে বিক্রি করা জ্বালানির মূল্য পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে।

এর অল্প কয়েকদিন পর রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি সংস্থা গাজপ্রম ফিনল্যান্ডে প্রাকৃতিক গ্যাস পাঠানো বন্ধ করে দেয়।

 

Comments

The Daily Star  | English

NCP unveils 24-point ‘New Bangladesh’ manifesto, calls for Second Republic and new constitution

Key pledges include recognising the July uprising and ensuring justice for those affected

1h ago